মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে
২১২০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক
জোসনা জামান, দ্য রিপোর্ট : মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে সহজ শর্তে দুই হাজার ১২০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইউহানেন্স জাট স্বাক্ষর করবেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংক কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, এ প্রকল্পে ডিএলআই (ডিসবার্সমেন্ট লিংক ইন্ডিকেটর) পদ্ধতিতে অর্থ ছাড় করবে বিশ্বব্যাংক। এর মানে হচ্ছে, কতগুলো নির্দেশক (যেমন বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৬০ শতাংশ করতে হবে) যা আগে থেকেই দেওয়া রয়েছে, সেগুলো যত তাড়াতাড়ি পূরণ হবে তত তাড়াতাড়ি অর্থ ছাড় করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অতিরিক্ত হিসেবে এ অর্থায়নের ফলে নতুন করে ৯০টি উপজেলার সব স্কুলে উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করাসহ শিক্ষা উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। এর আগে, এই প্রকল্পে সহজ শর্তে বিশ্বব্যাংক এক হাজার ৯৬ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে নিযুক্ত যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব এ বিষয়ে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বুধবার বিকেল ৩টায় সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের এ ঋণের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষতি হবে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ডিএলআই পদ্ধতিতে অর্থ ছাড়ের ফলে প্রকল্পের বাস্তবায়ন দ্রুত হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, মাধ্যমিক শিক্ষার এ প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত অর্থায়ন বিষয়ে ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঢাকায় ঋণের ব্যাপারে নেগোসিয়েশন হয়। এ ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ৪০ বছর। এ ক্ষেত্রে বার্ষিক সার্ভিস চার্জ দিতে হবে শতকরা শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং কমিটমেন্ট চার্জ শতকরা শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি মোট এক হাজার ১৮১ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০০৮ সালের জুন থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ২০০৮ সালে একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্বব্যাংকের ঋণ ছিল প্রায় এক হাজার ৯৬ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে ব্যয় বেড়ে গেলে এক হাজার ২২১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ধরে প্রথম দফায় সংশোধন করা হয়। বর্তমানে বিশ্বব্যাংক অতিরিক্ত অর্থায়ন করতে আগ্রহ প্রকাশ করলে দ্বিতীয় সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় এবং এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনে। সম্প্রতি সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করে একনেক।
শুরুতে এ প্রকল্পের আওতায় ১২৫টি উপজেলার মাধ্যমিক স্কুলে উপবৃত্তি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে নানা কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছিল। এখন বিশ্বব্যাংকের অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির হার ও টিউশন ফি বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদও বাড়বে।
(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এসআর/এমএআর/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)