দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে অবশিষ্ট সাক্ষীদের প্রতি সমন জারির নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।

ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান ভূইয়া মঙ্গলবার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন এবং পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

সাক্ষীরা হলেন- জার্মান দূতাবাসের তৎকালীন প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল অ্যাডভাইজার মুজতবা আহমেদ মুরশেদ, তৎকালীন ঢাবির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ছাত্র মো. আশরাফ সিদ্দিকি বিটু ও তৎকালীন পিজি হাসপাতালের চিকিৎসক রঞ্জন কুমার দে।

মামলাটিতে এ নিয়ে ২৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ফিল্মি কায়দায় গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে প্রিজনভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়া তিন আসামির মধ্যে দুই আসামি জামায়াতে মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শূরা সদস্য রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহামুদ ও সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এ মামলার আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে রাকিব ওই দিন রাতে ধরা পড়েন এবং পরে ক্রসফায়ারে নিহত হন।

পালিয়ে যাওয়া সালাহউদ্দিন মঙ্গলবার আদালতে হাজির না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কারাগারে থাকা জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার অপর আসামি নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক আছেন।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

ওই হামলার পর তিনি ২২ দিন সিএমএইচ হাসপাতালে ও ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসারত ছিলেন। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট ড. হুমায়ুন আজাদ মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।

২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। একই বছরের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটির বিচার আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

(দ্য রিপোর্ট/জেএ/এমএআর/সা/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)