দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ‘ময়মনসিংহের ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিএনপি জড়িত আছে কিনা, সেটা তদন্ত করে দেখার বিষয়।’

জামায়াতের পাশাপাশি বিএনপিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যত বড় শক্তিই জড়িত থাকুক না কেন, এমনকি খালেদা জিয়াও যদি জড়িত থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সংসদ অধিবেশনে মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের বিরতির পর অনির্ধারিত এক আলোচনায় অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন তিনি।

এ সময় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে গোয়েন্দা সদস্যদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ত্রিশালের ঘটনার সঙ্গে পুলিশের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তারা জড়িত কিনা- তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

শেখ সেলিম বলেন, ‘আল কায়েদা প্রধান জাওয়াহিরির বক্তব্য এবং বিএনপির সমর্থনের কারণে জঙ্গিরা উৎসাহিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক জরিপে শিবির বিশ্বের তিন নম্বর সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর সেই সংগঠনটিই বিএনপির শক্তি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া পরিষ্কারভাবে বলেছেন, তিনি জামায়াত-শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ করবেন না। এতেই বোঝা যায় জামায়াত-শিবির, বিএনপি, হেফাজত জঙ্গি সংগঠন। তারা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন হতে পারে না।’

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলা ভাইয়ের জন্ম। পুলিশ পাহারায় তারা তখন রাজশাহীতে জঙ্গি মিছিল করেছিল। মিডিয়ার কল্যাণে সমগ্র দেশবাসী তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে। আর তাদের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী এই সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এটা মিডিয়ার সৃষ্টি।’

সেলিম বলেন, ‘ত্রিশালের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য শহীদ হলেও তারা দুঃখ প্রকাশ করেনি। আর যখন আটক জঙ্গি বন্দুকযুদ্ধে মারা গেল তখন তাদের মহাসচিব এটা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন।’

কূটনীতিকদের সমালোচনা করে শেখ সেলিম বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু কূটনীতিককে প্রায়ই হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখি। এ ধরনের একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করার মানে কী?’

শেখ সেলিমের পর আলোচনার জন্য দাঁড়ান বিরোধী দলের চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। জঙ্গিদের দমনে সরকারকে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে জঙ্গিবাদ দমনে আন্তর্জাতিক একটি ট্রাস্কফোর্স গঠনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

গণমাধ্যমের খবরের সূত্র ধরে তিনি বলেন, ‘জঙ্গিদের হাতে কীভাবে পুলিশের মোবাইল গেল, এর সঙ্গে পুলিশের উচ্চপদস্ত কেউ জড়িত কিনা, তা তদন্ত করে দেখা উচিত। মানুষের মাঝে আজ আতঙ্ক বিরাজ করছে। এটা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২১০৪)