দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আবদুশ শাকুর ছিলেন ব্যতিক্রমের ব্যতিক্রম। সোজা পথে সাফল্য অর্জনের বাসনা তার ছিল না। তাই শিল্পের বিচিত্র মাধ্যমে বিচরণ করেছেন, সংযোগ ঘটিয়েছেন অকল্পনীয় শ্রম ও মেধার। প্রথাগত বাঙালির আলস্য ও শ্রমবিমুখতার নেতিবাচক ঐতিহ্যকে গুঁড়িয়ে দিয়ে তিনি অগ্রসর হয়েছেন তার সৃজনপথে। প্রচারবিমুখ শাকুর সমকালে তার যোগ্য প্রাপ্য পাননি কিন্তু মননশীল পাঠকের মাঝে দিন দিন তার রচনার প্রতি যে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে তা সত্যি আশাব্যঞ্জক।

মঙ্গলবার বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে ‘আবদুশ শাকুর : তাহার কথা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তরা এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মফিদুল হক। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- করুণাময় গোস্বামী, মাহবুব আলম, রাশেদ রউফ ও আহমাদ মাযহার। সভাপতিত্ব করেন দ্বিজেন শর্মা।

প্রাবন্ধিক বলেন, ‘বহুধাবিস্তারি আবদুশ শাকুর বাংলাদেশের সাহিত্যধারায় যোগ করেছেন আলাদা বিষয়, ভাষা নির্মাণে ছিলেন যথেষ্ট আলাদা, সক্রিয় হয়েছেন শব্দসম্ভার বর্ধনে। স্থুল লোকপ্রিয়তার পথ বর্জন করে তিনি বেছে নিয়েছিলেন গভীরতর সাধনার পথ। তার এই পথ চলা মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না; দুরূহ সাধন পথে নিবিষ্ট থেকে আবদুশ শাকুর কথাসাহিত্য, রসরচনা, রবীন্দ্রগবেষণা, নিসর্গসাধনা ইত্যাদি বিচিত্র ক্ষেত্রে যোগ করেছেন বিশিষ্ট মাত্রা। আমাদের সাহিত্যের এক বিরল বহুমুখী ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবদুশ শাকুর স্মরণীয় হয়ে থাকবেন চিরদিন।’

সভাপতির বক্তব্যে নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মা বলেন, ‘আবদুশ শাকুর এক বিরলতম বাঙালি প্রতিভা। নিসর্গ গবেষণা তার কোনো শৌখিন কাজ ছিল না বরং নিসর্গের মত জীবনকে সবুজ করার ব্রত নিয়েই তিনি তার জীবনসাধনার পথ নির্ধারণ করেছিলেন। বাংলা একাডেমি এই গুণী শিল্পজনকে স্মরণ করে গুরুদায়িত্ব পালন করেছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/সা/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)