ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় এক মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে গৃহবধূ ধর্ষণ এবং সেই ঘটনা মোবাইলে ভিডিও করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মজিদ। তিনি হরিপুর উপজেলার লহুচাঁদ গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে ও বীরগড় দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, ‘অনেক দিন ধরে মাদ্রাসাশিক্ষক মজিদ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজনকে জানাতে চাইলে মজিদ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেন। সংসারে অশান্তি হবে ও লোকলজ্জার ভয়ে বাধ্য হয়ে স্বামীকে পুরো ঘটনা জানালেও স্বামী শিক্ষক মজিদের হুমকিতে মামলা করতে পারেননি।’

ওই গৃহবধূ আরও বলেন, ‘তার স্বামী বাড়িতে না থাকার কারণে গত শবে বরাতের আগের দিন রাতে মাদ্রাসাশিক্ষক মজিদ ঘরে জোর করে ঢোকে। তাকে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করলে উল্টো মারপিট করেন। এতে আমি কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলি। এই সুযোগে মজিদ ধর্ষণ করে এবং কৌশলে মোবাইলে ভিডিও করে। এ ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও ছেড়ে দেবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে।’

ওই গৃহবধূর স্বামী জলিলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। মীমাংসা হলে আইনের আশ্রয় নেব। আমরা গরিব, ওরা ধনী, অর্থ-ক্ষমতা-গায়ের জোর সব দিক থেকেই মজিদ আমাদের চাইতে এগিয়ে। কোথায় আমরা সুবিচার পাবো!’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জান মনি বলেন, ‘জলিল বাড়িতে থাকে না। তবে সালিশ-বিচারে জলিলের পরিবারের প্রতি সুবিচার করা হবে।’

হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস বলেন, তারা এখনো কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এম/জুন ১১, ২০১৭)