দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জায়ান্ট স্ক্রিন নিয়ে দারুণ নাটক জমে ওঠেছে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে। আগের স্থাপিত জায়ান্ট স্ত্রিনকে আড়ালে রেখে নতুন স্ক্রিনে এশিয়া কাপের ম্যাচ সম্প্রচার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় বেজায় বিব্রত বিসিবিও। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির দায়িত্বহীন আচরণের কারণেই এমন ঘটনার অবতারণা হয়েছে।

২০১১ সালের বিশ্বকাপের বিকল্প এই ভেন্যু হিসেবে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ৬ কোটি ৫১ লাখ টাকায় স্থাপন করা হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন ও ডিজিটাল স্কোর বোর্ড। ২ বছর না পেরুতেই সেই প্রজেক্ট এখন পুরোপুরি অকেজো। দক্ষিণ আফ্রিকার স্তালাভিস্তার কারিগরি সহায়তায় স্থানীয় এজেন্ট ফাইভ আর অ্যাসোসিয়েটস এই জায়ান্ট স্ক্রিন স্থাপন করার দায়িত্ব পালন করেছে। তবে দুঃখজনক হলেও সেই স্ক্রিনে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ সচল করা সম্ভব হয়নি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ডিজিটাল স্কোর বোর্ড চালু করা গেলেও ম্যাচের হাইলাইটস এবং টিভি রিপ্লে দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছে দর্শক।

এশিয়া কাপের জন্য ডিজিটাল স্কোর বোর্ড চালু করার সব চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে বিসিবি! একাধিক সূত্রের খবর সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ডিজিটাল স্কোর বোর্ড এবং জায়ান্ট স্ক্রিন অপারেটিং সচল করার নামে তা নষ্ট করে গেছে। ওই প্রজেক্টের সফটওয়ার ডিলিট করা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিও ক্যামেরার রেকর্ডারের সঙ্গে যুক্ত করা মডিউল খুলে নিয়ে গেছে। ফলে এই সময়ে তা সচল করতে পারেনি বিসিবি। চুক্তি অনুযায়ী প্রজেক্ট স্থাপনের পর ২ বছর পযন্ত এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ফাইভ আর অ্যাসোসিয়েটসের। কিন্তু তারা তা করেনি। উল্টো বিসিবিকে এই জায়ান্ট স্ক্রিনের চাবি পর্যন্ত বুঝিয়ে দেয়নি ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এমন কী তারা এই সময়ে বিসিবিকে জিম্মি করে ডিজিটাল স্কোর বোর্ড এবং জায়ান্ট স্ক্রিনের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অপারেটিংয়ের কারিগরি সুবিধা নিশ্চিত রাখার অজুহাতে ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করেছে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বিসিবি ৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আপাতত দিতে রাজি হলেও টালবাহানা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দক্ষিণ আফ্রিকার কারিগরি সহায়তায় স্থাপিত এই ডিজিটাল স্কোর বোর্ড এবং জায়ান্ট স্ক্রিন সচল করা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভবও নয়। ফলে বাধ্য হয়ে টেকনোফ্রন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হয়েছে বিসিবি। তাদের স্ক্রিনেই ফতুল্লায় ম্যাচ সম্প্রচার করা হচ্ছে।

বিসিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ৫ দিনের জন্য ভাড়ায় আনা স্ক্রিন বাবদ বিসিবিকে ৪৫ হাজার ডলার দিতে হচ্ছে টেকনোফ্রন্টকে। জায়ান্ট স্ক্রিন নয়; আসলে বড়মাপের এলইডি বোর্ড স্থাপন করেই ঠেকার কাজ চালিয়ে নিচ্ছে বিসিবি। জানা গেছে, এশিয়া কাপ শেষে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপে এই স্ক্রিনটিই চট্টগ্রামের সাগরিকায় স্থাপন করা হবে। কারণ জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামের স্কিনটিও ফাইভ আর অ্যাসোসিয়েটস ২০১১ সালে স্থাপন করেছে। সেখানেও একই ঘটনা। অচল হয়ে পড়ে রয়েছে অনেক কিছুই। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে ওই স্ক্রিনে শুধু স্কোর দেখানো সম্ভব হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/সিজি/সা/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)