স্পোর্টস এডিটর, দ্য রিপোর্ট : ভারতের পক্ষে নিয়মিত কথা বলেন অধিনায়ক ও উইকেট কিপার মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু এশিয়া কাপের ঠিক আগ মুহূর্তে ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছেন ধোনি। তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহলির কাঁধে। কিন্তু এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে নামার আগেও কথা বলেছেন উইকেট কিপার। বেশ কিছু দিন পর দলে ফেরা দিনেশ কার্তিকই আবার মঙ্গলবার কথা বলেছেন দলের হয়ে। দারুণ ঘটনা, শুধু অধিনায়কত্ব বাদ দিলে ধোনির কার্বন কপিই দিনেশ। বুধবার ভারতের প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় বেজায় নাকাল হওয়া ওই দলকে বেশ সমীহ করেই কথা বলেছেন, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ভাল একটি দল।’

মঙ্গলবার মিরপুরে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে দিনেশ কার্তিক বলেছেন,‘আমি নিশ্চিতভাবে মনে করি সকলের জন্যই এই টুর্নামেন্ট অনেক বড় ঘটনা। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য এটা একটি উত্তেজনাপূর্ণ আসরও। সেখানে আমরা সত্যিই চেষ্টা করব এ টুর্নামেন্টে সব ম্যাচেই এগিয়ে যাওয়ার।’

ধোনির পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে বেশ পুলকিত দিনেশ বলেছেন, ‘বিষয়টির সঙ্গে আমার অভ্যস্ততা অনেক আগেরই। দলের প্রয়োজনে আমাকে অনেক বারই ডাকা হয়েছে। সুতরাং আমি জানি আমাকে কি করতে হবে। এর চেয়ে বেশি আমি ভাবছি না।’

বাংলাদেশকে সমীহ করেই দিনেশ কার্তিক বলেছেন, ‘ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দুর্দান্ত দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও তারা দারুণ খেলেছে। বিশেষ করে কয়েকটি ম্যাচে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সকলেই জানে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে ভালো একটি দল। সুতরাং আমরা এটা ভালোই জানি যে, তাদের ক্ষমতা-দক্ষতার প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের খেলতে হবে। আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা টুর্নামেন্টেই আমাদের ভালো খেলতে হবে।’

তামিম ও সাকিবকে ছাড়াই বাংলাদেশ নামছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো সুবিধা দেখছেন না দিনেশ। বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে সাকিব ও তামিম বাংলাদেশের ২ সেরা ক্রিকেটার। তাদের পরিবর্তে যারা দলে স্থান পেয়েছে তারা হয়ত খুব একটা পরিচিত নয়। এ পর্যায়ে এটা বলার বিষয়ও নয়। তারপরও আমি বলতে দ্বিধা করছি না বাংলাদেশ ওয়ানডেতে একটি ভালো দল। তাদের অবশ্যই সমীহ করতে হবে। তবে আমরা সব বারুদ জ্বালিয়ে নিজেদের উজার করে খেলব।’

ভারত ফতুল্লায় এই প্রথম খেলছে, সেখানে সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন দিনেশ। বলেছেন, ‘মাঠটি আমাদের কাছে অচেনাই বটে। একমাত্র স্বাগতিক বাংলাদেশই এখানে পরিচিত। এ ছাড়া অনেকেই এই নতুন মাঠে প্রথম খেলছে। এটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অংশ। আপনি চাইলেও এই ধরনের আসরে সব সময় একই ভেন্যুতে খেলার সুযোগ পাবেন না। আমাদের সব ভেন্যুতেই নতুন করে শুরু করতে হয়।’

ধোনির ইনজুরিতে হুট করেই, মাত্র ৩ দিন আগে দলে স্থান পেয়েছেন কার্তিক। তাই জানেন তাকে কি করতে হবে। বলেছেন, ‘ভারতীয় দলে একজন ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা পাওয়াটা অবশ্যই এক ধরনের ভিন্ন উত্তেজনার। এ ছাড়া এটা সময়ের অন্যতম সেরা দলও। ভারতীয় এমন দলে স্থান পাওয়াটা যথেষ্ট সম্মানের। আমি অবশ্যই আমার সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করব।’

আপনি পাওয়ার প্লেতে খেলার জন্য কতটা প্রস্তুত? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘সত্যি বলতে দ্বিধা নেই যে আমি নিজেই জানিনা ইনিংসে কোন পজিশনে আমি খেলছি। আমি শুধু জানি আমাকে খেলতে হচ্ছে। আর এটাও জানি আগামীকাল (বুধবার) ম্যাচকে ঘিরে কিছু সিদ্ধান্তও রয়েছে। আসলে কালই (বুধবার) বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।’

দলের লক্ষ্য নিয়ে দিনেশ বলেছেন, ‘আসলে আমাদের সকলেরই অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যাটিং করার চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু এটাই চরম বাস্তবতা খুব অল্পসংখ্যক ক্রিকেটারই পারে সব ম্যাচে অভিজ্ঞতার শতভাগ ব্যবহার করতে। ১০০ ভাগ ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট অভিজ্ঞ হতে হয়। আমরা সম্ভবত গত ১/২ বছর দেশের জন্য ক্রিকেট খেলছি। ম্যাচে রানও পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস তারা সেই অভিজ্ঞতা ধরে রাখার চেষ্টা করবে। এ ছাড়া যারা একটু নতুন তারাসহ আমরা সকলেই আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

(দ্য রিপোর্ট/এএস/সিজি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)