দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ৮৫ মিনিটে আহানীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ওয়েডসন। পোস্টের ওপর দিয়ে শট নিয়ে ভক্তদের হতাশ করেছেন শেখ জামালের হাইতির ফরোয়ার্ড। পুরো খেলায় এমন সুযোগ নষ্ট করেছেন আরো ৩ থেকে ৪ বার। মঙ্গলবার আবাহনীর ফুটবলাররাও মেতেছিলেন গোল মিসের মহড়ায়। তাই গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। নিটল টাটা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গোলশূন্য ম্যাচটিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে ২ দল।

লিগে ২ দলেরই এটি তৃতীয় ড্র। মোহামেডানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর শনিবার বিজেএমসির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল আইএফএ শিল্ড রানার্স-আপ শেখ জামাল। অন্যদিকে শেখ রাসেলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করা আবাহনী পরে ম্যাচেই চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে। এই ড্রতে ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে আবাহনী। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই রয়েছে শেখ জামাল। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র।

শুধু গোল ছাড়া জমজমাটই ছিল আবাহনী-শেখ জামালের ম্যাচ। ১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পেয়েছিল শেখ জামাল। অধিনায়ক মামুনুলের বাকানো ফ্রিকিক জালে জড়ালে এগিয়ে যেতে পারতো কলকাতা কাঁপিয়ে আসা দলটি। ২১ মিনিটে ফের সুযোগ এসেছিল তাদের। বক্সের ঠিক বাইরেই দ্বিতীয়বার ফ্রিকিক পেয়েছে তারা। কিন্তু আইএফএ শিল্ডে ইস্ট বেঙ্গলের বিপক্ষে ফ্রিকক থেকে চমৎকার এক গোলে দলকে জেতানোর নায়ক সনি নর্দে ছিলেন ব্যর্থ; পারেননি আবাহনীর জালে বল পাঠাতে। হাইতির এ ফরোয়ার্ডের শট বক্সের বাইরে দিয়ে চলে গেছে।

৩৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে জামালের হাইতির আরেক ফরোয়ার্ড ওয়েডসনের উঠিয়ে দেওয়া বল ক্রসবারে লেগে ফিরে এসেছে। পরে তা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেছেন আবাহনীর ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল। প্রধমার্ধে আবাহনীরও বেশ কয়েকটি আক্রমণ থাকলেও গোল করার মতো আক্রমণ ছিল শেখ জামালেরই।

বিরতির পর ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছিল আকাশী শিবির। বেশ গুছিয়ে খেলা শুরু করেছিল তাদের ফুটবলাররা। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেনি আলী আকবরের শিষ্যরা। উল্টো ৭৩ মিনিটে ভাল সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। বক্সের মধ্যে থেকে মাটি ঘেঁষা ওয়েডসনের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেছেন আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল। মিনিট তিনেক পর জোরালো আক্রমণে প্রায় গোল পেয়েই যাচ্ছিল আবাহনী। কিন্তু ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি দলের ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড ওসেই মরিসন। মিশুর কাছ থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষক জিয়াকে একাও পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরে আগুয়ান এ গোলরক্ষকের মাথা উপর দিয়ে বল মারলে পোস্ট ছুঁয়ে মাঠে বাইরে চলে গেছে।

ম্যাচ শেষে রেফারিকে দুষেছেন আবাহনীর ইরানি কোচ আলী আকবর। তিনি বলেছেন, ‘টানা ৩ ম্যাচ ড্র, ফরোয়ার্ডের ফিনিশিংয়ে সমস্যা ছিল। মরিসন সহজ সুযোগ মিস করেছে। রেফারির বিপক্ষে খেলতে হয়েছে আমাদের। রেফারি অনেক ভুল বাশি বাজিয়েছে।’

অন্যদিকে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের নাইজেরিয়ান কোচ যোসেফ আফুসি বলেছেন, ‘ভারত থেকে ফেরার পর শেখ জামালের ওপর সবার প্রত্যাশা বেড়েছে। তাই জিততে না পারলে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। তবে গত ম্যাচের চেয়ে আজ ভাল খেলেছি। আবাহনী ভাল দল। ওদের বিপক্ষে ১ পয়েন্ট পাওয়া মন্দ নয়। তবে লক্ষ্য ছিল জয়। শেষ ২ ম্যাচ জিতলে শীর্ষে ওঠার সুযোগ, তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’

(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)