১৭ দফতরের সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগামী অর্থবছরে (২০১৭-১৮) কী কী কাজ করতে হবে তা নির্ধারণ করে দিয়ে অধীনস্ত ১৭ দফতর ও সংস্থার সঙ্গে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ স্বাক্ষর করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় হয়। এ চুক্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান ও দফতর বা সংস্থার পক্ষে এর প্রধানরা স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে আমরা যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছি, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক ও উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি, সে স্বপ্ন পূরণের পথে এ চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিগত কৌশল।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা আনতে এ চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা বাড়াতেও এ চুক্তি সাহায্য করবে। ফলে মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপূর্ণভাবে অর্জিত হবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।’
শুধু কাগজে-কলমে চুক্তি করলেই হবে না, তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকতে হবে মন্তব্য করে সচিব বলেন, ‘এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও দফতর/সংস্থার মধ্যে সুসমন্বয় অত্যন্ত জরুরি।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মসিউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সামছুন্নাহার বেগম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার, নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক ভূঞা, গ্রন্থাগার ও আরকাইভস্ অধিদফতরের পরিচালক মো. মজিবুর রহমান আল-মামুন, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপ, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির সচিব মো. আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য দফতর/সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির আওতায় একটি অর্থবছরে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মধ্যে কী কী কার্য সম্পাদন করা হবে, কীভাবে করা হবে সূচকের ভিত্তিতে তার রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে সরকারি দফতরের কার্যক্রম বস্তুনিষ্ঠ পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এপি/এনআই/জুন ১৫, ২০১৭)