পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মসজিদের টাকার হিসাব ও কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আমিনুর রহমান (৫৫) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে উপজেলার নয়াদিঘী এলাকার বোদা সদর ইউনিয়নের নয়াদিঘী ইসলামপুর মসজিদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে বোদা থানা পুলিশ।

নিহত আমিনুর রহমান রহমান ওই এলাকার মৃত নজিমউদ্দীনের ছেলে। আহতরা হলেন, নিহত আমিনুর রহমানের ছেলে সোহেল (২০) ও ছোট ভাই মোমিনুল ইসলাম (৫০)।

অপর পক্ষের আহতরা হলেন, একই এলাকার নুর নবী (৪০), তার বাবা এমাজ উদ্দীন (৬৫) ও মা নাজিরা বেগম (৬০) এবং স্ত্রী শিরিন আকতার (৩৬)।

প্রথম দিকে দুই পক্ষেরই আহতরা বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলেও পরে মূল অভিযুক্ত নুর নবী সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নুর নবীর বাবা এমাজ উদ্দীন, মা নাজিরা বেগম এবং স্ত্রী শিরিন আকতারকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বোদা উপজেলার নয়াদিঘী ইসলামপুর মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও কমিটি গঠন নিয়ে মসজিদ চত্বরে একটি মিটিং শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ আলোচনা শেষে টাকার হিসাব নিয়ে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী নুর আলমের ভাই নুর নবীর সাথে ওই মসজিদের মুসল্লী আমিনুর রহমানের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আমিনুর রহমান জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আহত দুই পক্ষের ৬ জনকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।

বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. হাবিবুল্লাহ রাসেল বলেন, ‘আমিনুর রহমানকে হাসপাতলে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। লাঠির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় ইতোমধ্যে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এনআই/জুন ১৬, ২০১৭)