দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জুলিয়াস সিজারের একটি উক্তি আছে, ‘আমি আসলাম, দেখলাম, জয় করলাম’। বইমেলা প্রাঙ্গণে পা রাখতেই কথাটি কানে বাজতে থাকল। কারণ শাহবাগ মোড় থেকে শুরু করে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত প্রাণের বইমেলা জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। এ ভিড় অন্য কোনো কারণে নয়, শেষ দিকের মেলায় বই কিনতে ভিড়। আর এখন যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগরেই উদ্দেশ্য আগের বাছাইকৃত বইটি কিনে নেওয়া।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার বাকি আর মাত্র তিনদিন। তাই শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে গ্রন্থমেলা। যারাই আসছেন মেলায় তারাই বই কিনছেন। এখন ঘোরাঘুরি করে সময় কাটানোর মতো সময় নেই কারও। তাই বই কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পাঠক-ক্রেতারা।

গ্রন্থমেলা ঘুরে দেখা যায়, এতদিন যে সব পাঠক মেলায় এসে স্টলে স্টলে ঘুরেছেন, ক্যাটালগ সংগ্রহ করেছেন, তারাই এখন এসে পছন্দের বইটি কিনে নিজের বইয়ের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। সবার হাতে কোনো না কোনো বই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানজিনা তানিন নিশি। তার স্বপ্ন, বইয়ের ছোটখাটো লাইব্রেরি করা। দুই হাতেই প্যাকেটবন্দি ২০টির মতো বই। তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমি বই পছন্দ করে রেখেছি অনেক আগেই। এখন আর ঘুরে দেখার সময় নেই। এবার কেনার পালা। তাই স্টল থেকে স্টলে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করছি প্রিয় লেখকের পছন্দের বইগুলো।

বিভিন্ন স্টলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি স্টলে ক্রেতাদের ভিড় থাকায় স্টলগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধিরা দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না। মেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে।

প্রকাশকরা জানান, মেলায় বিদায়ের সুর বাজতে চলেছে। তাই এখন যারা মেলায় আসছেন তারাই মূলত বইয়ের ক্রেতা। এদের অপেক্ষায়ই ছিলেন তারা। তাই এখন প্রতিটি দিনই বিক্রি ভালো হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও প্রকাশক ওসমান গণি বলেন, এবারের মেলায় গতবারের চেয়ে বিক্রি অনেক বেশি হবে। আর মেলার শেষের এই কদিন বিক্রি আরও বাড়বে।

(দ্য রিপোর্ট/জেএইচ/এপি/এএল/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)