সংসদে শেখ হাসিনা-এরশাদকে উৎসর্গ করে
কাজী ফিরোজের কবিতায় সংসদে হাস্যরস
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদসহ চারজনের জন্য আলাদা আলাদা ‘কবিতা’ পাঠ করে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছেন। এগুলো স্বরচিত কবিতা বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আর সেই কবিতা শোনার পর সংসদের সভাপতিত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, আপনি কবি হলেন কবে? এটা তো জানা ছিল না। আপনার নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কবি এটা আমরা জানি। কিন্তু আপনি যে কবি এটা জানতাম না। নেতা কবি হলে কর্মীরাও কবি হওয়া স্বাভাবিক।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কবিতা শোনান। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, অর্থমন্ত্রী ও ডেপুটি স্পিকারের উদ্দেশে চারটি কবিতা পাঠ করেন।
এরশাদের উদ্দেশে পাঠ করা কবিতার লাইনগুলো হচ্ছে- দেখ ওই চাঁদের দিকে চেয়ে।/কত যে কষ্ট তার বুকে, কখনো কালো মেঘে ঢেকে যায়, কখনো সে আলো হারায়/ তবুও আলো ছড়িয়ে সে হাসে/ কারণ সে আকাশকে ভালবাসে/ আমার নেতাকে শত কষ্ট জ্বালা যন্ত্রণা, বেদনা সবকিছু উনাকে ঢেকে দেয়/ আবার সব কিছু উপেক্ষা করে উনি মানুষের মাঝে ফিরে আসেন/কারণ উনি দেশকে ভালবাসেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে পাঠ করা কবিতার লাইনগুলো হচ্ছে- জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছি/হারাতে হারাতে আজ আমি বড় ক্লান্ত/এখন আর হারানোর কোনো ভয় আমি করি না/ কারণ পৃথিবীতে যার পাবার কিছু নেই/ তার হারানোর ভয়ও নেই/ পৃথিবীতে সবচেয়ে দুঃখী সেই যে নিজের মান অভিমান, দুঃখ-কষ্ট কাউকে দেখাতে পারে না/একটু চিৎকার করে কাঁদতেও পারে না/ শুধু চোখের জ্বলে ভাসে।
এরপর স্পিকারের চেয়ারে বসা ডেপুটি স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, এবার আপনাকে উৎসর্গ করে একটি কবিতা পাঠ করছি। তারপর বলেন, যদি কখনো আমি না থাকি তোমাদের এই সংসদে/ একটি সাদা ফুল রেখে দিও আমার নামে/ আমি অনেক কথা বলে গেছি তোমাদের মাঝে/রেখে গেলাম সব কিছু আমার সাজানো সংসদে।
তার এসব ‘কবিতা’ শুনে উপস্থিত অনেক সদস্য টেবিল চাপড়ে উৎসাহ দেন।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/জুন ২০, ২০১৭)