কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী, খোকসা ও মিরপুরে বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে নানা শঙ্কা। তাদের রয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। ভোটারদের মধ্যেও রয়েছে ভয়। তারা সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দেওয়ার নিশ্চয়তা চান প্রশাসনের কাছে।

এই তিন উপজেলায় ৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ১২ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫।

মিরপুর উপজেলায় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একক হওয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কামারুল আরেফিন কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। জামায়াত এবং বিএনপির মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় দুদলই বেশ চাপের মুখে রয়েছে। মিরপুরে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর ভোটার ও সমর্থকদের হুমকি, চাপ প্রয়োগ ও নির্যাতন করছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার ক্যাডার বাহিনী। সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি ও জমায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এমন অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা ভোট চুরির আশঙ্কা করেছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা এমন অভিযোগ করছেন।

কুমারখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একজন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর দ্বারা তার কর্মী ও সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মামলা-হয়রানির অভিযোগ করেছেন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নূরুল ইসলাম আনসার প্রামাণিক এ সব অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট চুরির আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভোটে পরাজয়ের শঙ্কা থেকেই তারা এ সব অভিযোগ করছেন।

খোকসায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা নিজ নিজ দলের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন। বিএনপির দাবি, প্রতিপক্ষের ক্যাডাররা বিভিন্ন এলাকায় তাদের দুইশতাধিক কর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে। একাধিক মামলাও করেছে। খোকসায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আমজাদ হোসেন তার কর্মী, ভোটার ও সমর্থকদের শারীরিকভাবে নির্যাতন, বাড়ি ভাঙচুর এবং পরিকল্পিতভাবে পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এদিকে, বিএনপির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন খোকসার আওয়ামী লীগ নেতারা।

রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুজিব-উল ফেরদৌস বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে এবং ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় নির্বাচনের আগেই রবিবার রাত থেকে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এফএইচ/এএস/এজেড/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৪)