দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের অগ্রগতি ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বড় ধরনের অন্তরায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গি দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জঙ্গি দমনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (নারায়ণগঞ্জ-১) গোলাম দস্তগীর গাজীর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এর আগে ঈদুল ফিতরের মূলতবী সভা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার বিকেল ৪টা ৫মিনিটে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

জঙ্গি দমনে বর্তমান সরকারের নানা সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধা্নমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশকিছু সফল অভিযান শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিনেতাসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গ্রেফতার ও নিহতসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়। হলি আর্টিজান হামলার পর এ যাবত যতগুলো অপারেশন পরিচালিত হয়েছে তার সবগুলো থেকেই জঙ্গিগোষ্ঠী আঘাত হানার পূর্বেই আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে এবং জঙ্গি আস্তানাসমূহ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ প্রে-অ্যাক্টিভ পুলিশিংয়ের একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অভিযানসমূহ পরিচালনার ফলে বর্তমানে জঙ্গি তৎপরতা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে এবং জঙ্গি দমনে এ সাফল্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট গঠন, জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণাসহ তার সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথাও এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সৌদি সরকারের অর্থায়নে ৫৬০ মডেল মসজিদ

চট্টগ্রাম-৩ আসনের এমপি মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সৌদি আরব সরকারের অর্থায়নে ‘প্রতি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গত ২৫ এপ্রিল একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/এনআই/জুন ২৮, ২০১৭)