লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার লাশ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

এর আগে বুধবার সকাল ১১টার দিকে ভারতীয় সীমানার ৬নং মেইন পিলারের ৩নং সাব পিলারের ২২ বিএসএফ’র অরুণ ক্যাম্পের কাছ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

সুমন মিয়া বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক। তার বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আটঘটরিয়া গ্রামের আউশপাড়ায়।

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল গোলাম মোরশেদ বলেন, দুই দিন পর বুধবার সকাল ১০টার দিকে দহগ্রাম এলাকার ৪ কিলোমিটার ভাটিতে ভারতের অভ্যন্তরে তিস্তা নদীতে লাশটি দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে ১৩ ভারতীয় কুচবিহার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র একটি টহল দল ওই বিজিবি’র ল্যান্সনায়েক সুমন মিয়ার লাশটি উদ্ধার করেন। পরে বুধবার বিকালে ৩টার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় কুচবিহার জেলার মেখলীগঞ্জ থানার অরুণ ক্যাম্পের ২২ বিএসএফ’র কোম্পানি কমান্ডার বিনোদ রাজ লাশ লাশটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি’র রংপুর সেক্টর কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ।

পরে তিস্তা ব্যারাজ অবসরে ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া’র সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হানিফ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনীশংকর কর জানান, বিজিবি’র ল্যান্সনায়েক সুমন মিয়া শরীরে কোনো আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, গরু পাচারকারীদের ধরতে গিয়ে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আবুলের চর সীমান্তের ৬/৩ এস নং পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে ভেসে যান সুমন মিয়া।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/এনআই/জুন ২৮, ২০১৭)