দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মামলায় নতুন করে যুক্তিতর্ক শুরু হবে ১০ মার্চ।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুানাল-১ বুধবার এ দিন ধার্য করে।

আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজামীর মামলাটি শুনানির জন্য কজলিস্টে আনেন। এরপর শুনানিতে প্রসিকিউটর মো. আলী বলেন, ‘আইনে আছে একজন বিচারপতি মামলার কার্যক্রম যে পর্যন্ত রেখে যাবেন, সেখান থেকেই নতুন বিচারপতি মামলার কার্যক্রম আবার শুরু করবেন। যেহেতু নিজামীর মামলায় রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে, তাই আদালত যা ভালো মনে করে তাই আদেশ দিতে পারে।’

নিজামীর পক্ষে আদালতে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শুনানি করেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির নিজামীর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেই অবসরগ্রহণ করেন।

এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নতুন করে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয়।

নতুন বিচারপতি আসায় নিজামীর মামলায় পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আদেশ দেয়া হয়েছে। এরপর মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

নিজামীর মামলার রায় যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে বলে ২০ নভেম্বর মামলাটি (সিএভিতে) রেখে দেয় ট্রাইব্যুনাল।

গত ১৩ নভেম্বর এ মামলায় আসামীপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না করেই রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিল ট্রাইব্যুনাল। পরে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবার যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়। এরপর ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর তিনদিন নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম।

২০ নভেম্বর প্রসিকিউশনের পক্ষে পাল্টা যুক্তি ও আইনি পয়েন্ট উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, ড. তুরিন আফরোজ ও মোহাম্মদ আলী। অতঃপর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

গত ৩ থেকে ৬ নভেম্বর প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ নিজামীর বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।

গত বছরের ৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক এ অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল এবং ২৮ মে ১৬টি অভিযোগ এনে নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, র্ধষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই বছররে ২ আগস্ট এক আবদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/একে/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৪)