ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে হস্তান্তর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ৯টি মামলার রায়ের কপি ইতিহাসের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বুধবার সকালে বাঁধাই করা রায়ের কপি জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হকের কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী, জেয়াদ আল মালুম, সাইফুল ইসলাম প্রসিকিউশন টিমের বেশ কয়েকজন সদস্য ও ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর থেকে উভয় ট্রাইব্যুনাল থেকে ৯ মামলায় ১০ জনকে সাজা দেন। এর মধ্যে সাত জনকে ফাঁসি ও তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল।
জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমকে ৯০ বছর, আব্দুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করলেও আপিলে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
জামায়াতের সাবেক রোকন আবুল কালাম আযাদকে গত বছর ২১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে, আর ৯ মে সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ১৭ জুলাই জামায়াতের সেক্রেটারি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল- ২। গত ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-১। এরপর ১৫ জুলাই ট্রাইব্যুনাল-১ জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালের অষ্টম রায় হিসেবে গত ৯ অক্টোবর বিএনপির আরেক নেতা আব্দুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল -২। নবম রায় হিসেবে গত ৩ নভেম্বর চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। পলাতক অবস্থায় তাদের বিচার কাজ শেষ হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-২। আপিল বিভাগ তার সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন। ট্রাইব্যুনালে এখনও সাতটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/একে/আরকে/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৪)