দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দ্রত শিল্পায়ন এবং পণ্য পরিবহন সুবিধার জন্য দেশের অভ্যন্তরে ইকনোমিক করিডর স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এ লক্ষে কয়েকটি রুট বিবেচনায় নিয়ে তারা কর্মপরিকল্পনা শুরু করেছে।

ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পাঁচটি রুট প্রাথমিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর নাম হবে ঢাকা-যশোর ইকনোমিক করিডর। প্রথম পর্যায়ে এটিকে মংলা বন্দর এবং সম্প্রসারিত কানেকটিভিটি হিসেবে পায়রা বন্দরের সাথে সংযুক্ত করা হবে।

রাজধানীর মতিঝিলে বিডার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রবিবার (৯ জুলাই) সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সভায় ভারত এবং মালয়েশিয়ার ইকনোমিক করিডর ঘুরে এসে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন বিডার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন। তিনি ভারত এবং মালয়েশিয়ার ইকনোমিক করিডর সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে একটি উপস্থাপনা পেশ করেন।

আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘ইকনোমিক করিডর স্থাপনের বিষয়ে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। এই করিডরের ব্যাপারে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঢাকা থেকে যশোর যাওয়ার পাঁচটি রুটের প্রস্তাবনা দিয়েছে। তবে এগুলো নিয়ে আরও অনেক কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশবান্ধব, অর্থনৈতিক ব্যয় এবং কৃষি জমি যেন নষ্ট না হয়-এসব বিষয়ে অব্যশই লক্ষ্য রাখতে হবে। কোন দিক দিয়ে পথ নিলে বেশি সুবিধা হবে, তা বিবেচনায় রেখে এটি করা হবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ইকনোমিক করিডর স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে বিডার লোকজন বিদেশে গিয়ে এ বিষয়ে সরেজমিনে ধারণা নিয়ে এসেছে। এ ধারণা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে।’

ভারত এবং মালয়েশিয়ার করিডর সম্পর্কে বিডার কর্মকর্তাদের সরেজমিন ধারণা কাজে লাগানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বিডার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন, পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এবং উপপরিচালক গাজী একেএম ফজলুল হক গত ১৬ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত ভারত এবং মালয়েশিয়ার একাধিক ইকনোমিক করিডর পরিদর্শন করেন। সেই আলোকে তারা বাংলাদেশে ইকনোমিক করিডর স্থাপনের বিষয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করবেন।

সভায় বিডা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এডিবির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/এনআই/জুলাই ০৯, ২০১৭)