টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কমসূচি পণ্ড হয়ে গেছে। দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রেস ক্লাব চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ১২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ১০জন কর্মীকে আটক করেছে। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঢাকা থেকে আসা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সভা-সমাবেশে যোগ দিতে পারেননি।

রবিবার সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব কমিউনিটি সেন্টারে এই কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কমসূচি আয়োজন করে। সকালে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। তবে বিএনপি’র বিদ্রোহী গ্রুপ প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যাযে উভয়গ্রুপ পদবঞ্চিত বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের কমিউনিটি সেন্টারে ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়। এতে করে দুই গ্রুপের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় প্রেস ক্লাব ও আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পথচারী ও যানবাহন চালকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। হামলার খবর পেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম সমাবেশে যোগ দিতে যাননি।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি নাজমুল হক ভুইয়া সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম তোফা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপির বিদ্রোহী একটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিকভাবে হামলা চালায়। আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/জুলাই ২৩, ২০১৭)