নীলফামারী প্রতিনিধি : সাম্প্রতিক তিস্তার বন্যায় নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৩৩ হাজার ৪৮৭ গবাদি পশু ও পাখি আক্রান্ত এবং গবাদি পশুর ২২ একর চারণ ভূমি প্লাবিত হয়ে বিনষ্ট হয়েছে। একই সাথে গবাদি পশুপাখির সাড়ে ২৩ মেট্রিকটন খাদ্য বিনষ্ট হয়েছে।

এসব ইউনিয়নে কোন গবাদি পশু-পাখির মৃত্যু না হলেও চিকিৎসা ও টিকা প্রদান করা হয়েছে চার হাজার ৮৪৮ গবাদি পশু-পাখিকে।

নীলফামারী জেলা ত্রাণ ও পনরবাসন কর্মকর্তার দফতরে দাখিলকৃত জেলা প্রাণী সম্পদ দফতরের প্রতিবেদন সূত্র জানা যায়, সাম্প্রতিক তিস্তার বন্যায় জেলার ডিমলা উপজেলার ছয়টি এবং জলঢাকা উপজেলার চারটিসহ মোট ১০ ইউনিয়নে ৩৩ হাজার ৪৮৭ গবাদি পশু-পাখি আক্রান্ত হয়। এসময় কোন গবাদি পশু-পাখির মৃত্যু না হলেও অসুস্থ হয়ে পড়া চার হাজার ৮৪৮ গবাদি পশু-পাখিকে চিকিৎসাসহ টিকা প্রদান করা হয়েছে। ওই বন্যায় দুই উপজেলায় ২২ একর গবাদি পশুর চারণ ভূমি প্লাবিত হয়ে বিনষ্ট হয়। ঢলের পানিতে বিনষ্ট হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা সমমূল্যের সাড়ে পাঁচ মেট্রিকটন দানাদার খাদ্য। পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে ৫৪ হাজার টাকা মূল্যের গরুর খাদ্য হিসেব ব্যব‎হৃত ধানের খড়। সর্বমোট টাকার অঙ্কে খাদ্যে ওই ক্ষতির পরিমাণ দুই লাখ ৪৬ হাজার ৫০০। ওই বন্যায় মৎস্ সম্পদের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানান হয় প্রতিবেদনে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ.টি.এম আখতারুজ্জামান ক্ষতির হিসেবের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ বন্যায় গবাদি পশু-পাখির ক্ষতির ওই প্রতিবেদন তৈরী করে আমার দফতরে দাখিল করে। দাখিলকৃত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এজে/এনআই/জুলাই ২৩, ২০১৭)