দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতি ও অবমাননার অভিযোগে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনকে কারাগারে পাঠানো বিচারক বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হোসাইনকে বদলির সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

বদলির এই প্রস্তাব মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টে আসার পর হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতি ও অবমাননার অভিযোগে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদেশের ২ ঘণ্টা পর তার জামিনে মুক্তির খবর প্রকাশিত হলে এ নিয়ে তোলপার শুরু হয়।

খোদ প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই মামলা দায়েরকারী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ওবায়েদুল্লাহ সাজুকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

এদিকে ওই মামলার বিচারক বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইনের সার্কিট হাউসের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করা ও লঞ্চের ভাড়া না দেয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে ওই বিচারকের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরে গাজী তারেক সালমান বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাকালে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের একটি আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ করেন। আমন্ত্রণপত্রের পেছনের পাতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন জাতীয় শিশু কিশোর দিবসে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর আাঁকা ছবি ছাপানো হয়।

এরপর আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করায় ৭ জুন অ্যাডভোকেট সাজু বাদী হয়ে আগৈলঝাড়ার ইউএনও গাজী তারেক সালমনের বিরুদ্ধে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলায় সমনের প্রেক্ষিতে গত ১৯ জুলাই বরিশালের (সিএমএম) কোর্টে হাজির হন তারিক সালমন। সেসময়ই তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর দুই ঘণ্টা পর জামিন দেওয়া সংক্রান্ত এই ঘটনা ঘটে।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এআরই/জুলাই ২৫, ২০১৭)