দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (২০১৭ জুলাই-ডিসেম্বর) স্থিতিশীল মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। আগের অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (২০১৭ জানুয়ারি-জুন) তুলনায় এবার বেসরকারিখাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমিয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

বুধবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মুদ্রানীতি ঘোষণার কথা জানিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির। একইসঙ্গে এবারের মুদ্রানীতিকে স্থিতিশীল ও কর্মসংস্থানমুখী বলে জানিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির। এ সময় ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রা‌জি হাসান ও এস কে সুর চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট উপদেষ্টা আল্লাহ মালিক কাজেমি, প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ, প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মো. আখতারুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, স্থিতিশীলতা ও কর্মসংস্থানমুখী প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিষয়ে নতুন মুদ্রানীতিতে নজর দেওয়া হয়েছে। আগের বছর বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬.৫ শতাংশ। এবার ধরা হয়েছে ১৬.৩ শতাংশ। তবে এই ১৬.৩ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় কম নয়। গত বছর যে ভিত্তি ধরে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, এবার সেই ভিত্তি ধরলে ঋণ প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ।

সরকারের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৭.৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সহায়তা দেওয়া এবং মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে এবারের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান ফজলে কবির। জিডিপির ৭.৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৬.৩ শতাংশ যথেষ্ট হবে বলে জানান তিনি।

মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বন্ড বাজারের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করছে বলে জানান ফজলে কবির। এ ছাড়া জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের সঞ্চয়পত্রগুলোর উচ্চ মুনাফা হার সরকারের জন্য অতিরিক্ত সুদের ব্যয়ভার সৃষ্টি করছে। এর ফলে মুদ্রানীতির কার্যকারিতার জন্য দরকারি সুষ্ঠু ট্রান্সমিশন চ্যানেলের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অচিরে সঞ্চয়পত্রগুলোর মুনাফা হার বিদ্যমান বাজার সুদহারের সঙ্গে সম্পর্কিত করা আবশ্যক।

ফজলে কবির বলেন, এএমএল/সিএফটি বিধি-ব্যবস্থা পরিচালনে বিচ্যুতির জন্য বড় বড় আন্তর্জাতিক ব্যাংক নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দ্বারা বিপুল অঙ্কের অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ সকল ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোর অধিকাংশ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক গুটিয়ে নেয়। ফলে বাংলাদেশিসহ বিদেশি কর্মজীবীদের জন্য বৈধ পথে দেশে অর্থ পাঠনো বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এপি/জুলাই ২৬, ২০১৭)