দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে দুটি পৃথক মামলায় যশোর, নড়াইল, ময়মনসিংহ ও শেরপুরের ১৬ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ধানমণ্ডির তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক এম সানাউল হক।

অভিযুক্তদের মধ্যে ময়মনসিংহ ও শেরপুরের চারজন। এদের মধ্যে তিনজন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। যশোর ও নড়াইল অঞ্চলের ১২ আসামির মধ্যে পাঁচজন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

ময়মনসিংহ ও শেরপুরের গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন-শেরপুরের নকলা উপজেলার এস এম আমিনুজ্জামান ফারুক (৫৮) ও মো. এমদাদুল হক ওরফে খাজা ডাক্তার (৭৪) এবং ময়মনসিংহের কোতয়ালী থানার এ কে এম আকরাম হোসেন (৬২)। পলাতক অপরজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। আসামিরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর তদন্ত শুরু হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম প্রায় দু’বছর তদন্তের পর আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করলেন। ৫৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুরের নকলা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ আটক, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের মতো চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে যশোর ও নড়াইল অঞ্চলের ১২ আসামির মধ্যে গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন হলেন- আবদুল ওহাব মোল্যা (৮০), ওমর আলী শেখ (৬৪), বদরুদ্দুজা (৭৫), দাউদ শেখ (৬৭) ও গুলজার হোসেন খান (৭৫)। এছাড়া খন্দকার শওকত আলী বাবুলসহ ৭ জন পলাতক রয়েছেন। পলাতক বাকি আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২১ মার্চ তদন্ত শুরু হয়। এক বছর চার মাসের তদন্ত শেষে ১৬ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও গণহত্যার মতো পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এমকে/জুলাই ২৭, ২০১৭)