গুলশান হামলার ‘পরিকল্পনাকারী’ গ্রেফতার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গুলশান হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ আসলাম হোসাইন রাশেদ ওরফে রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশকে নাটোরের সিংড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পাশাপাশি পুলিশ সদরদতরের ‘ল-ফুল ইন্টারসেপশন সেন্টার’, বগুড়া ও নাটোর জেলা পুলিশের সদস্যদের অভিযানে গ্রেফতার হয় রাশেদ।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিংড়া বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাশেদ নব্য জেএমবির সদস্য এবং জেএমবির প্রধান তামিমের খুব কাছের লোক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাশেদকে নাটোর থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তাকে আদালতে হাজির করে হলি আর্টিজানের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
গত ৮ জুলাই গুলশান হামলার আরও এক ‘পরিকল্পনাকারী’ সোহেল মাহফুজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গুলশান হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশের সন্দেহভাজনদের খাতায় যে ৫ জনের নাম ছিল তারা হল- সোহেল মাহফুজ, রাশেদ ওরফে র্যাশ, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট, মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান ও হাদীসুর রহমান।
সোহেল মাহফুজকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানতে পারে, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শিবগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত চারজনের মধ্যে বাশারুজ্জামান ও ছোট মিজানও রয়েছেন।
ফলে এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসাবে হাদীসুর রহমান সাগর এখনও পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা করে পাঁচ জঙ্গি। তাদের রুখতে গিয়ে বোমা হামলায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
পরদিন সকালে সেখানে কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী পাঁচ তরুণ ও ক্যাফের এক পাচক নিহত হন। ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনের লাশ।
ওই হামলায় জড়িত থাকায় অভিযোগে এর আগে চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা হল-মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজাউল করিম।
নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর পাশাপাশি জাহিদুল ইসলাম, তানভীর কাদেরী, নুরুল ইসলাম মারজান, আবু রায়হান তারেক, সারোয়ার জাহান, আব্দুল্লাহ মোতালেব ও ফরিদুল ইসলাম আকাশ গুলশানের হামলায় জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য, এরা সবাই পরে বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন।
হলি আর্টিজানে হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত নিবরাজ ইসলাম, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল তখনই কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়েছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এনআই/জুলাই ২৮, ২০১৭)