পটুয়াখালী প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সহায়ক সরকার বলতে সংবিধানে কিছু নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে।’

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে পটুয়াখালীর লেবুখালী পায়রা নদীতে নির্মাণাধীন পায়রা সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে একই এলাকায় নির্মণাধীন শেখ হাসিনা সেনানিবাস পরিদর্শন শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ওবায়দুল কাদের।

পরে তিনি নদীর দক্ষিণ পাড়ে লেবুখালী ফেরীঘাট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।

এ সময় তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘যারা আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়, তারা সরকার গঠন করতে পারে না। আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির মহাসচিব ফকরুল ইসলাম আলমগীর এখন কান্নাকাটি আর নালিশে ব্যস্ত।’

এ সময় চীফ হুইফ আ স ম ফিরোজ, বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, মিসেস লুৎফুন্নেসা বেগম এমপি, দলের কেন্দ্রীয় নেতা আফজাল হোসেন, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়াসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ব্রিজ সংশ্লিষ্ট চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী ফেরীঘাটে পায়রা নদীতে পায়রা সেতুর (লেবুখালী সেতু) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ২০১৩ সালের ১৯ মে। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই সেতুর কাজ শুরু হয়। ১৪শ’ ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে মূল সেতুর পরিধি নদীর মধ্যে ৬শ’ ৩০ মিটার। বাকি ৮শ’ ৪০ মিটার রয়েছে ভায়াডাক্ট ব্রিজ বা সংযোগ সড়ক সেতু। প্রস্থ রয়েছে ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি কুয়েত ফান্ডের ১শ’ মিলিয়ন ডলারের সাথে ওফিডের ৩০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে এই প্রকল্পে। বাংলাদেশি টাকায় প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাস্তবায়নে পায়রা সেতু প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে চীনের লংজিয়ান রোড এন্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড। কনস্যালটেন্সি ফার্ম হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ, কুয়েত, ভারত ও কোরিয়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।

সেতু প্রকল্পের আবাসিক প্রকৌশলী মনজিত কুমার সাহা জানান, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে মাথায় রেখেই এই সেতু ফোরলেন করা হচ্ছে। মূল সেতুতে স্প্যান থাকছে ৪টি। মাঝ নদী বরাবর দুটি ২শ’ মিটার ও পাশের দুটি ১শ’ ১৫ মিটার করে। এছাড়া পটুয়াখালী প্রান্তে ১৬টি ও বরিশাল প্রান্তে ১২টি স্প্যান থাকছে ৩০ মিটার করে। মাঝে লেন ছাড়াও থাকছে ১ মিটার দৈর্ঘ্যের ফুটপাত। পায়রা সেতু চালু হলে কুয়াকাটাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ সহজ হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এস/এনআই/জুলাই ২৮, ২০১৭)