যানজট নিরসনে নতুন প্রকল্প
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : রাজধানীর যানজট নিরসনে বিমানবন্দর থেকে কেরাণীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসিক এলাকা পর্যন্ত ‘বাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন-৩’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সম্ভব্য দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২২ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পটিতে অর্থায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংককে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করার পর মূল প্রকল্পের নকশা চূড়ান্তকরণের প্রস্তুতি হিসেবে বৃহস্পতিবার ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সঙ্গে কোরিয়ান সানজিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার কোম্পানি লিমিটেডের (নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান) এবং যৌথ উদ্যোগে ডংবু ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড, শিংশাং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড ও ডনগ্রীম টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগরভবনে সেমিনার হলে এ চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার যানজট নিরসনের কথা চিন্তা করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বর্তমান সরকার নানামুখী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। এর আগে আমরা বাস ট্রাপিড ট্রানজিটের একটি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেছি। প্রধানমন্ত্রী নিজে এই প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বিআরটির এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভারও নির্মাণ করেছে বর্তমান সরকার। ২২ হাজার কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরে মেট্রো রেল প্রকল্পেরও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার বিমানবন্দর থেকে মহাখালি, রমনা, সদরঘাট হয়ে কেরাণীগঞ্জ ঝিলমিল প্রকল্প পর্যন্ত নতুন একটি বিআরটি লাইন-৩ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা। বিশ্ব ব্যাংককে প্রকল্পটিতে অর্থায়নের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ এই প্রকল্পটির নকশা চূড়ান্তকরণের জন্য কোরিয়ান একটি লিডিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। অবশ্য এই কোম্পানির সঙ্গে আরো কিছু কোম্পানি জয়েন ভেঞ্চারে কাজ করবে। নকশা চূড়ান্তকরণের ব্যয় হবে সাত কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার পাঁচশ টাকা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই নকশা প্রণয়নের কাজ করা হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কেরাণীগঞ্জ ঝিলমিল আবাসিক এলাকা পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিটের এই প্রকল্পটিতে মোট ১৪০টি আর্টিকুলার বাস চলাচল করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতি ঘন্টায় উভয় দিক থেকে প্রায় ২০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
২২ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পটিতে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। ফ্লাইওভার থাকবে দুটি, আন্ডারপাস থাকবে ৩০টি এবং বাস ডিপো থাকবে ২টি। প্রকল্পটির কাজ ২০১৪ সালে শুরু হবে এবং শেষ হবে ২০১৭ সালে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. আফতাবুল্লাহ তালুকদার। এ সময় কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
(দিরিপোর্ট২৪/এইচআর/এমডি/নভেম্বর ০৭, ২০১৩)