‘আর্টিজান হামলায় রাশেদকে পছন্দ, পরে বাদ’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গুলশান হলি আর্টিজানে হামলার জন্য প্রথমে আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে র্যাশকে পছন্দ করা হলেও পরে তাকে বাদ দেন নব্য জেএমবির সমন্বয়ক তামিম চৌধুরী। রাশেদ তামিম চৌধুরীর খুবই আস্থাভাজন এবং স্নেহভাজন ছিল। দলে তার কোন পদ ছিল না, কিন্তু পরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ সব তথ্য জানান।
রাশেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছর রমজানের আগে কোনো একদিন গুলশানের জঙ্গিদের বুড়িগঙ্গা নদীর কাছে এক এলাকায় নিয়ে যায় রাশেদ। সেখানে তাদেরকে কীভাবে গ্রেনেড ছুড়তে হয় সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নদীতে গ্রেনেড ছুড়ে এ প্রশিক্ষণ দেয় রাশেদ। এ সময় গুলশানে অন্যতম হামলাকারী রোহান ইমতিয়াজের পায়ে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার লাগে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিল রাশেদ।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলার আগে নব্য জেএমবির নেতা ছোট মিজান ও রাশেদকে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে অস্ত্র আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা আমের ঝুড়িতে করে পিস্তল, গুলি, ম্যাগজিন কল্যাণপুরের আস্তায় নিয়ে আসে। কল্যাণপুর থেকে বাসারুজ্জামান চকলেট অস্ত্রগুলো হামলাকারীদের কাছে বসুন্ধরার আস্তানায় পৌঁছে দেয়।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এআরই/জুলাই ২৯, ২০১৭)