ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গ্রেফতার নিয়ে লুকোচুরি পর পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মামুন মিয়া (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৯ আগস্ট) রাত ২টার দিকে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে তন্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, মামুন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে সরাইল থানায় দুটি ডাকাতির মামলাসহ চারটি মামলা রয়েছে। মামুন উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের শফিউদ্দিনের ছেলে।

সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা জানান, বুধবার বেলা ৩টার দিকে জেলার নবীনগর উপজেলা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করে সরাইল থানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি দা ও দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

পরে তার দেওয়া তথ্যমতে রাতে সরাইল উপজেলার দেওড়া গ্রামে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায় পুলিশ। পথিমথ্যে তন্তর এলাকায় মামুনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মামুনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও জানান, ঘটনার পরপরই মামুনের সহযোগীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড গুলি, ৮ রাউন্ড গুলির খোসা ও একটি রামদা এবং একটি বল্লম উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম সিকদার আজ (১০ আগস্ট) বৃহস্পতিবার সকালে জানান, মামুনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে নবীনগর থানা পুলিশ। পরে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে নিয়ে যায় সরাইল থানা পুলিশ। ফলে মামুনকে গ্রেফতার নিয়ে নবীনগর ও সরাইল থানা পুলিশের লুকোচুরি রয়ে গেল। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কেউ মুখ খোলেননি।

এদিকে তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার দাবি করেন, তার স্বামী বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই।

(দ্য রিপোর্ট/এম/এনআই/আগস্ট ১০, ২০১৭)