দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চোরাচালানের মাধ্যমে আনীত প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও ডায়মন্ড আটকের ঘটনায় এবং এসব মূল্যবান সামগ্রী কর নথিতে অপ্রদর্শিত ও গোপন রাখায় আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ৫টি মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।

শনিবার (১২ আগস্ট) গুলশান থানায় ২টি, ধানমন্ডি থানায় ১টি, রমনা থানায় ১টি ও উত্তরা থানায় ১টি সহ মোট ৫টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দার ৫ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে এম. আর জামান বাধন, বিজয় কুমার রায়, মো. শাহরিয়ার মাহমুদ, মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং মো. আরিফুল ইসলাম এই মামলাগুলোর বাদী।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন আপন জুয়েলার্স এর মালিকপক্ষ ৩ জন যথাক্রমে দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনার আলোকে শনিবার এই মামলাগুলো করা হয়েছে।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ধারা ২ (ঠ) এবং কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৫৬(৫) অনুযায়ী শুল্ক গোয়েন্দা এই মানিলন্ডারিং মামলাগুলোর তদন্ত করবে।

এর আগে আপন জুয়েলার্স এর বিরুদ্ধে শুল্ক-করাদি ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদ করার অভিযোগে দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী কাস্টম হাউস ঢাকায় ৫টি কাস্টমস মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

এছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার মজুদ, মেরামত, তৈরি, বিক্রয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘটিত ভ্যাট ফাঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটগুলো কাজ করছে।

আয়কর নথিতে অপ্রদর্শিত স্বর্ণ দেখানোর কারণে সংশ্লিষ্ট আয়কর জোনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তাছাড়া চোরাচালান, শুল্ক ফাঁকি, মানিলন্ডারিং, ভ্যাট ফাঁকি, আয়কর ফাঁকি ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূতভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনজনিত দুর্নীতি হওয়ায় দুদক আইনে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বনানীর একটি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আপন জুয়েলার্সের ৫টি শোরুম থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণের ও ডায়মন্ডের অলঙ্কার উদ্ধার করে। পরে এসব অলঙ্কার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এমএইচএ/আগস্ট ১২, ২০১৭)