দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার)। এ দিবস উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটও বিশেষ নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করবে। তবে বিশেষ নিরাপত্তায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে রাজধানীর প্রতিটি থানায় বিশেষ বার্তা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শোক দিবসকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য থানাগুলোকে জানানো হয়েছে। এজন্য থানা পুলিশের সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পুলিশের বাড়তি সদস্য থাকবে।

ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে প্রচুর লোক সমাগমের কথা চিন্তা করে অন্যান্য জায়গার চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে ডিএমপি। মোতায়ন করা হবে অতিরিক্ত পুলিশ। তাদের সঙ্গে থাকবে র‌্যাব, আনসার, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এছাড়া সাদা পোশাকেও পুলিশ সেখানে দায়িত্ব পালন করবে। গোটা এলাকা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। থাকবে ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়া ৩২ নম্বরের আশপাশের ভবনগুলোতে পুলিশ অবস্থান নেবে।

৩২ নম্বরে প্রবেশের ক্ষেত্রে সব প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বাসানো হয়েছে। এছাড়া আর্চার টাওয়ার দিয়ে সেখানে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। সন্দেহভাজন কেউ থাকলে তাকে আলাদাভাবে তল্লাশি করা হবে। বাহকের সঙ্গে দৃশ্যমান কোনো কিছু থাকল তাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এমনকি নারীদের ভ্যানিটি ব্যাগও সঙ্গে না আনতে নিষেধ করছে পুলিশ। ৩২ নম্বরে আসতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কোনোরকম দাহ্য পদার্থ, ছুরি, চাকু বহন না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে সরেজমিনে দেখা গেছে, শোক দিবসের নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। ওই এলাকায় প্রবেশের প্রতিটি ‍মুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সর্বশেষ প্রস্তুতি হিসেবে আর্চার টাওয়ার, সিটি ক্যামেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন তারা। তারা আশা প্রকাশ করেছেন শোক দিবসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পারবেন।

নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। নাশকতার কোনো তথ্য আমরা এখনো পাইনি। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরসহ রাজধানীজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, গোটা এলাকাজুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পোশাকদারি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ১৫, ২০১৭)