শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর সরকারি কলেজে ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানে বসা নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

ছাত্রলীগ কর্মী সাগর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওই আলোচনা সভায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক টিপু গ্রুপের কর্মী অনিক মাদবর, মিজান মুন্সি, বাহাদুর সিকদার ও আশরাফ ফকির সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোহসীন মাদবর গ্রুপের সোহেল ঢালি, সুমন তালুকদার, সোহাগ হাওলাদার ও মকবুলদের অনুষ্ঠানে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সোহেল, মকবুল, সুমন, সজল, সুজন, সাকিল, রবিন, শামিম, ইমন, আল আমিন কাজি ও রুবেলসহ প্রায় ২০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে  অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র সোহান হাওলাদারের অবস্থা গুরুতর। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের  প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক টিপু কোতোয়াল বলেন, আমার সমর্থক ৪ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে মোহসীন সমর্থকরা ১নং হল থেকে মারধর করে বের করে দেয়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।

জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোহসীন মাদবর বলেন, শরীয়তপুর সরকারি কলেজে ১৫ আগস্টের আলোচনা সভা চলাকালে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক টিপু কোতোয়ালের নেতৃত্বে কতিপয় ছাত্রলীগ নামধারী কলেজে ঢুকে ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের ছাত্রলীগের কর্মীরা আহত হয়েছে। আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল শেষ করে সবাইকে বিদায় দিয়ে আমি আমার অফিসে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ ৫/৭ জন ছেলেকে ছোটাছুটি করতে দেখে আমি ও স্যারেরা নিচে নেমে আসার আগেই ওরা চলে গেছে। এর বেশি আমি জানি না।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/আগস্ট ১৫, ২০১৭)