নওগাঁয় বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি
নওগাঁ প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং গত ৪ দিনের অবিরাম বর্ষণে নওগাঁয় বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। এছাড়া নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বেতগাড়ী, ঘোষগ্রাম ও কৃষ্ণপুর নামক স্থানে নতুন করে আরও ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জেলা সদরের সঙ্গে আত্রাই উপজেলা ও নাটোর জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মান্দায় ২টি, আত্রাইয়ে ১টি ও রাণীনগরে ছোট যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৫টি স্থানে ভেঙ্গে গেছে। বন্যার পানিতে নওগাঁর ৬টি উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক বিঘার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে এবং কয়েক হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ১ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মান্দায় নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ৩০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার লাখ লাখ মানুষ। বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে ঘরবাড়ি ও ফসল ডুবে যাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহেলাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা। বর্তমানে অসহায় পরিবারগুলো বিশ্ব বাঁধে, স্কুলে ও উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। শহরের প্রধান সড়ক এক ফুট পানির নিচে। এ ছাড়াও পুরাতন কালেক্টরেট ভবন চত্বর. জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ সুপারের বাসভবন, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, মুক্তির মোড়, কাজীর মোড়, বিহারী কলোনী, বনানীপাড়া, উকিলপাড়া, কালীতলা, পার-নওগাঁ ১ থেকে দেড় ফিট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আমিনুর রহমান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকাসমুহ পরিদর্শন করেছি। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করার জন্যেসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেষ দিয়েছি।
(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/আগস্ট ১৬, ২০১৭)