নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর দুর্ভোগ এখনও কাটেনি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বাড়ীতে ফিরলেও দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। এখনও তাদেরকে শুকনা খাবার খেয়ে রাত্রি যাপন করতে হচ্ছে। তবে সরকারীভাবে তেমন সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকেই। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোতে খাবার ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য মতে, গেল কয়েকদিনের বন্যায় জেলার ডিমলা উপজেলাস্থ তিস্তার পাড়ের ৩০১টি পরিবারের বসতভিটা বিলিন হলেও মাত্র ৮০টি পরিবারকে সরকারীভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ২’শ ২১টি পরিবার সরকারীভাবে এখনও কোন সহায়তা পাননি বলে জানা গেছে। ডিমলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানান এবারের বন্যায় ৮ হাজার ৬৮৫ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হলেও বরাদ্দ কম থাকার কারনে ৩ হাজার ৪শ পরিবারকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।

ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত তার ইউনিয়নে যে পরিমান শুকনো খাবার সরকারী ভাবে বিতরণ করা হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান ও খগাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন সরকারীভাবে কোন শুকনো খাবার তাদের ইউনিয়নে দেয়া হয়নি। তবে যে পরিমান ত্রান দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য ৯৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫লক্ষ টাকা বিতরন করা হয়েছে। কিন্তু ২টি ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কোন পরিবার কেন শুকনো খাবার পায়নি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এদিকে এবারের বন্যার ৮টি বাঁধ, ১০টি রাস্তা ও ৪টি কালভার্ট, সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়া ও কৃষি বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনও প্রায় ৩ শতাধিক একর জমির আমন ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে। বুধবার বিকালে পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের তিস্তার বাঁধে বিজিবির উদ্দ্যেগে ক্ষতিগ্রস্থ ১৫০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরন করেন ৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহফুজ উল বারী।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/আগস্ট ১৬, ২০১৭)