নীলফামারী প্রতিনিধি : বিয়ের ১৫ ঘন্টার মধ্যেই নববধুকে রেখে হামিদুল ইসলাম(৩০) নামে এক ব্যাক্তি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ফকিরপাড়া গ্রামে। হামিদুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত. ইউনুস আলীর ছেলে।

৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের নিজ ভোগডাবুড়ি গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে রিপা আক্তারের (২০) সাথে ধুমধাম করে হামিদুলের বিয়ে হয়। রাতে বউ নিয়ে বরযাত্রীর দল হামিদুলের বাড়ীতে আসে। শুক্রবার ছিল বৌভাতের অনুষ্ঠান। সেই রকম প্রস্তুতিও চলছিল। সকাল থেকে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য হামিদুলসহ আত্মীয়স্বজন সকলেই ব্যাস্ত সময় পার করছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই হামিদুলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দেখা যায় বাড়ীর পাশেই মফিজুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তির ঘড়ের স্বরের সাথে গলায় দড়ি দেওয়া তার মৃতদেহ ঝুলছে। মুহুর্তের মধ্যেই বিয়ে বাড়ির আনন্দ অনুষ্ঠান বেদনাবিধুর হয়ে উঠে। বিয়ের ১৫ ঘন্টার মধ্যেই হামিদুলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা তার পরিবারের কেউ। মেনে নিতে পারেনি নববধু রিপাও।

মফিজুলের স্ত্রী রাহেনা বেগম বলেন, ‘আমরা কনে নিয়ে রাতে বাড়ি আসি। শুক্রবার সকাল থেকেই আমরা বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে সকলেই ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ঘরে গিয়ে দেখতে পাই হামিদুলের ঝুলন্ত লাশ আমাদের ঘরে ঝুলে রয়েছে।

নববধু রিপা আক্তার জানান, ‘সে (হামিদুল) নিজেই প্রস্তাব দিয়ে আমাকে বিয়ে করেছে, রাতে অনেক গল্প হয়েছে, কিন্তু কি কারনে এমন ঘটনা ঘটলো তা আমি বলতে পারছি না।’

ডোমার থানার এসআই অনন্ত কুমার বিকালে দ্য রিপোর্টকে জানান, লাশের সুরতহাল করা হচ্ছে।

ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোকছেদ আলী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/আগস্ট ১৮, ২০১৭)