শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি
দ্য রিপোর্ট রিপোর্ট : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বিস্ফোরক মামলায় নয়জনের ২০ বছর করে কারাদাণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় দেন। গত ১০ আগস্ট মামলা দুটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে মামলাগুলোয় ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে ৬৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ স্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল আট জনকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন আরও নয় জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর ২০১০ সালে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা-২ ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. মহিবুল্লাহ, মুন্সি ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে গ্রেনেড হামলা ও তিনজনকে হত্যার মামলায় মুফতি হান্নানের ফাঁসি ইতিমধ্যে কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে এ পর্যন্ত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ঢাকার আদালতেই এ ধরনের পাঁচটি মামলা বিচারাধীন। এ রায় ঘোষণা হলে, এটাই হবে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রথম রায়। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ২০, ২০১৭)