স্বাদ ও স্বাস্থ্য ভাল রাখবে কুমড়োর বিচি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : অবসর সময়ে স্ন্যাকস, তেলেভাজা, ঝালমুড়ি খেতে কার না ইচ্ছে হয়। প্রত্যেকেই স্ন্যাকস জাতীয় খাবারের ভক্ত। তবে এবার স্বাদ ও স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য বেছে নিতে পারেন কুমড়োর বিচিকে।
স্ন্যাকস জাতীয় খাবার আর যাই হোক, পুষ্টিগুণ অবশ্য একদমই নেই। কুমড়োর বিচি কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর।
১০০ গ্রাম কুমড়ার বিচি থেকে ৫৫০-৬০০ ক্যালরি পাওয়া যায়। অর্থাৎ শর্করার বিকল্প বস্তু হিসেবে কুমড়ো বিচির জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে আছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব খাদ্য উপাদান।
কুমড়ার বিচি (বীজ) ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও প্রোটিনের ভালো একটি উৎস। বিচিগুলোতে অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চমাত্রায় রয়েছে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
ওজন কমানো, চুলের বৃদ্ধিসহ কুমড়োর বিচির নানা গুণ জেনে নেওয়া যাক একনজরে—
১. হৃদযন্ত্রের পক্ষে উপকারী: কুমড়োর বিচিতে আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বি, ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সব উপাদানই হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। কুমড়ো বিচির ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২. সুখনিদ্রা: কুমড়োর বিচিতে আছে সেরোটোনিন। স্নায়ু নিয়ন্ত্রক এই রাসায়নিক বস্তুকে ঘুমের বড়ি বলা হয়। ট্রাইপটোফ্যান নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়, যা দারুণ ঘুম নিশ্চিত করে।
৩. পেশীর পক্ষে উপকারী: পেশির জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমানোর ক্ষমতা আছে কুমড়োর বিচির। এ ছাড়া বাতের ব্যথাতেও উপকারে আসে। শরীরের বিভিন্ন স্থানের হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা কমাতে এর তেলও ভালো উপকারে আসে।
৪. রোগপ্রতিরোধে নির্ভুল টোটকা: প্রচুর পরিমাণে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এটি।
৫. প্রোস্টেটের পক্ষে উপকারী: কুমড়োর বিচিতে রয়েছে জিঙ্ক। যা পৌরষত্ব বাড়ায় ও প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এতে আছে ডিএইচইএ (ডাই-হাইড্রো এপি-অ্যান্ড্রোস্টেনেডিয়ন), যা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
৬. ডায়াবেটিসেও উপকারী: শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে এবং ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ চাপ কমায়। এ ছাড়া হজমে সাহায্য করে এমন প্রোটিনও সরবরাহ করে কুমড়োর বিচি, ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৭. মেদ কমানোয় উপযোগী: ওজন কমাতেও সাহায্য করে কুমড়োর বিচি! ছোট্ট এই খাবার শর্করার বিকল্প হওয়ায় পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। যা খাদ্যগ্রহণের মাত্রা কমিয়ে শরীরের ওজন কমাতে পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করে।
৮. চুল ভাল রাখে: এতে আছে কিউকরবিটিন। এটি এমন এক অ্যামাইনো অ্যাসিড যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও কুমড়োর বিচিতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা চুলের বৃদ্ধিতে সদর্থক ভূমিকা নেয়।
খবর- এবেলা।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ২০, ২০১৭)