রাবির দুই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগকর্মীর ছুরিকাঘাত
রাবি প্রতিনিধি : ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে এক ছাত্রলীগ কর্মী। রবিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
ছুরিকাঘাতে আহত হৃদয় হাসান আইন বিভাগের মাস্টার্সের এবং মাহাবুবুর রহমান সুমন একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ছুরিকাঘাত করা ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান উদ্দিন নোমান বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ সময় ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ খান তাদের মারধর করেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী হৃদয় হাসান বলেন, আমার এক বান্ধবীকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো নোমান। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য আমি কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গ্রন্থাগারের সামনে যাই। এমন সময় হঠাৎ করে আমাকে আর সুমনকে মারধর করতে থাকে নোমান আর রাশেদ। একপর্যায়ে নোমান প্রথমে আমাকে পরে সুমনকে ছুরি মারে।
ভুক্তভোগী মাহবুবুর রহমান সুমন বলেন, নোমান বেশ কিছুদিন ধরে হৃদয়ের বান্ধবীকে ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পাঠানোসহ নানা ভাবে উত্যক্ত করছিল। রবিবার এ বিষয়ে নোমানের সাথে কথা বলতে গেলে নোমান আমাদের মারধর করা শুরু করে। এ সময় হঠাৎ ছুরি বের করে আমাকে ও হৃদয়ের পেটে আঘাত করেন নোমান।
হৃদয় ও সুমনকে কয়েকজন মিলে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আমার আগামীকাল (সোমবার) পরীক্ষা। তাই লাইব্রেরিতে পড়াশুনা করছিলাম। বিকেলে লাইব্রেরি থেকে নিচে নেমে দেখি নোমানের সাথে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। সেখানে যেতেই হঠাৎ তারা আক্রমণ করে বসে। আমাকেও মারধর করে। এরই মধ্যে তাকিয়ে দেখি তাদের দুজনকে ছুরি মারা হয়েছে। তাদের কথাকাটাকাটি বা দ্বন্দ্বের বিষয়ে কিছুই জানতাম না।
তবে ছুরিকাঘাত করা রায়হান উদ্দিন নোমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ঘটনার পরপরই আমি ও সভাপতি তাদের সাথে কথা বলেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বলেছি।
নোমান বর্তমানে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশ নেই না দাবি করে তিনি বলেন, নোমান ছেলেটি আগে হয়ত ছাত্রলীগ করতে পারে। সম্প্রতি সে ছাত্রলীগের কোন কর্মসূচিতেই থাকে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, বিষয়টি শোনার পরেই আমি সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এখন পরিস্থিতি ভালো।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/আগস্ট ২০, ২০১৭)