কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘ক্ষমতা হারানোর ভয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি কখনই ভাবতে পারছেন না বিচার বিভাগ, সুপ্রিম কোর্ট একটি আলাদা স্বাধীন সংস্থা। তিনি মনে করেন নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ সব হচ্ছে সুধা ভবনের একটি এক্সটেনশন। সুধা ভবনের একটা বর্ধিত অংশ। এখন সুপ্রিম কোর্ট তাকেও তিনি আওয়ামী লীগের কার্যালয় বানানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রধান বিচারপতি তার কথা শুনছেন না। তিনি আইনকে আইনের পথে যাওয়ার জন্য কথা বলছেন এবং দেশে যা ঘটছে, মানুষের বিবেককে যা নাড়া দিয়েছে সেই বিষয়টি তিনি ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মধ্যদিয়ে তুলে ধরেছেন। এই জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আজে-বাজে কথা বলছেন। তার মাথা খারাপ না হলে এই কথা বলতে পারে না।’

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর হরিকেশ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘সারাদেশকে আওয়ামী লীগের একক দমন-পীড়নের রাজ্যে পরিণত করা যাবে না। এখানে বিরোধী দল থাকবে কিন্তু শেখ হাসিনা এটা থাকতে দিতে চান না। এজন্য নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গুম, খুন, গুপ্তহত্যা শুরু করেছেন। এইটা হচ্ছে শেখ হাসিনা ভিশন। যখন তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে, তখন তিনি পাগল হয়ে যান। আওয়ামী লীগ কোন উন্নয়ন করেনি। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ছাত্রলীগ, যুবলীগের পকেটের মধ্যে।’
তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট বোমা হামলা আপনার শুভাকাঙ্খিরাই করেছে। বিএনপিকে বিব্রত করতে এবং আপনার প্রতি যাতে সহানুভুতি ফুটে উঠে এজন্য। এই কাজ আপনারা করেছেন।’
দ্বিতীয় দিনের মতো ত্রাণ বিতরণকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, শফিকুল ইসলাম বেবু, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম নুরু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বিপ্লবসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
(দ্য রিপোর্ট/এজে/আগস্ট ২২, ২০১৭)