হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
আইন সচিবের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এর ফলে তার দায়িত্ব পালনে আপাতত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এর আগে একইদিন সকালে আইন সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আইন সচিবের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু ও অমিত তালুকদার।
আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পান। গত ৭ আগস্ট অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা থাকলেও তার আগের দিন তাকে একই পদে দুই বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। সেই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ-উজ জামান।
রিটের শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ লাগে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নেওয়া হয়নি।
এছাড়া আইন সচিব পদে জুডিশিয়াল সার্ভিসের বাইরের কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। আইন সচিব এখন জুডিশিয়াল সার্ভিসে নাই। এমনকি আপিল বিভাগের এক রায়েও বলা হয়েছে, এ পদে চুক্তিভিক্তি নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই।
পাবলিক সার্ভিস রিটায়ারমেন্ট অ্যাক্ট এর ৫ (৩) ধারা থেকে উদ্ধৃত করে মাহবুবে আলম বলেন, অন্য আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন রাষ্ট্রপতি জনস্বার্থে যে কোনো ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারেন। যেহেতু একেএম জহিরুল হক বিচার বিভাগীয় একজন কর্মকর্তা, তাই তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া আইন বহির্ভূত হয়নি। তাছাড়া এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরমর্শ করার বিধানও আইনে নেই। সুতরাং এ নিয়োগকে অবৈধ বলা যাবে না।
পরে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ৮ আগস্ট আদালত আইন সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে তার যোগদানপত্র গ্রহণের আদেশ কেন অবৈধ হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়।
(দ্য রিপোর্ট/কেআই/আগস্ট ২২, ২০১৭)