টি-টোয়েন্টিতে আফ্রিদির ৪২ বলে ১০০
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া- একমাত্র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই এতদিন কোনো সেঞ্চুরি ছিল না শহীদ আফ্রিদির। ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন প্রাক্তন পাকিস্তানি অধিনায়ক।
হ্যাম্পশায়ারের হয়ে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ৪৩ বলে ১০ চার ও ৭ ছক্কায় খেলেছেন ১০১ রানের টর্নেডো ইনিংস।
ডার্বির কাউন্টি গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাতে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল হ্যাম্পশায়ার। ওপেনিংয়ে নামা আফ্রিদি ওয়েইন ম্যাডসেনের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই হাঁকান ৪টি চার। এর মধ্যে শেষ তিন বলে টানা তিনটি, মানে চারের হ্যাটট্রিক!
বুম বুম খ্যাত আফ্রিদি ১৮ বলেই করে ফেলেন ৪৫ রান। ম্যাট হেনরিকে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন ২০ বলে। দ্বিতীয় ছক্কাটি ছিল বিশাল, বল সিটি প্রান্তের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে পড়ে রাস্তায়!
তবে আফ্রিদি ৬৫ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন ম্যাডসেন লং অনে ক্যাচ ফেলায়। সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন।
ওপেনিংয়ে নামার জন্য অধিনায়ক জেমস ভিন্সকে ‘কনভিন্স’ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আফ্রিদি, ‘আমি গতকাল অধিনায়ক ও কোচকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, যদি আমি ওপরের দিকে নামতে পারি; কারণ সাত-আট আমার পজিশন নয়। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আপনাকে সুযোগ নিতে হবে। প্রথম ছয় ওভার অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনাকে আক্রমণাত্মক খেলতে হবে, যেটা আমি করেছি।’
আফ্রিদির ১০১ ও অধিনায়ক ভিন্সের ৩৬ বলে ৫৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৯ রান তোলে হ্যাম্পশায়ার। যেটি দলটির সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি সংগ্রহ। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যৌথভাবে অষ্টম সর্বোচ্চ। হ্যাম্পশায়ারের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২২৫, ২০০৬ সালে মিডলসেক্সের বিপক্ষে। কালকের ২৪৯ ডার্বিশায়ারের বিপক্ষেও কোনো দলের সর্বোচ্চ। হ্যাম্পশায়ার ছাড়িয়ে গেছে ২০১৫ সালে এজবাস্টনে ওয়ারউইকশায়ারের ২৪২ রানকে। এই মাঠেও এটি সর্বোচ্চ। ২০০৯ সালে ল্যাঙ্কশায়ারের ২২০ ছিল আগের সর্বোচ্চ।
হ্যাম্পশায়ারের রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে ১৪৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় ডার্বিশায়ার। কাকতালীয়ভাবে হ্যাম্পশায়ারের জয়টাও আফ্রিদির রানের সমান ঠিক ১০১ রানে!
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ২৩, ২০১৭)