মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : আর কিছুদিন পরেই উদযাপিত হবে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। মুন্সীগঞ্জে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে টুংটাং আওয়াজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। সারা বছর অলস সময় পার করলেও ঈদ আসলে চলে তাদের কর্মব্যস্ততা।

 

এই ঈদে গরু, ছাগল, উটকে কোরবানি পশু হিসেবে জবাই করা হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কোরবানির পশু জবাই চলে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য।

এদিকে দা, বটি, চাকু, চাপাতি তৈরি ও পুরনো গুলোতে শান দিতে ব্যস্ত মুন্সীগঞ্জের কামার শিল্পীরা। মুন্সীগঞ্জের সদর বাজার, টংগিবাড়ির দিঘিরপাড় এলাকা ঘুড়ে চোখে পড়ে কামার শিল্পীদের পশু জবাই ও মাংস কাটার যন্ত্রপাতি তৈরি করছে এবং মজুদকৃত কয়লার স্তূপ।

দিঘিরপাড় এলাকার মো. তানজিল দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘পুরোদমে কাজ চলছে দোকানগুলোতে। ৭ দিন আগে থেকেই অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরের জেলা গুলো থেকেও অর্ডার নেওয়া হয়। ৭ জন কর্মচারী আমার দোকানে কাজ করছে। তারা খেয়ে না খেয়ে কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে যে পরিমাণ মালামাল কিনে রেখেছিলাম, তার দাম এবং কর্মচারী খরচ সবকিছু মিলিয়ে লাভ নিয়ে বিপাকে আছি।’

মুন্সীগঞ্জ সদরের বাজার এলাকার মো. রহিম মিয়া বলেন, ‘বাপ-দাদার পৈত্রিক পেশা ধরে রেখেছি। সারা বছর কাজের চাপ থাকে না। যা লাভ এই ঈদ মৌসুমেই। তাই ঈদে সামান্য একটু বেশি নিয়ে থাকি। তবে এবারের ঈদে চাপ বেশি, তাই দুইজন কর্মচারী সঙ্গে নিয়েছি।

ঈদে এলে লোহার দাম না বাড়লেও কয়লার দাম বাড়িয়ে দেয় অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা। এছাড়া কোরবানির পশুর দামের উপর নির্ভর করে কামার শিল্পীদের লাভ লোকসান। গরুর দাম কম হলে লাভ বেশি হবে। আর দাম বেশি হলে কম হবে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এনআই/আগস্ট ২৪, ২০১৭)