‘চামড়া নষ্টে দায় নেবে না ট্যানারি মালিকরা’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেছেন, ‘ট্যানারি মালিকরা চামড়া সংরক্ষণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। এরপরও সমস্যা সমাধানে সরকার উদ্যোগ না নিলে ট্যানারি মালিকদের চেষ্টা সফল হবে না। সে ক্ষেত্রে চামড়া নষ্ট হওয়ার দায় ট্যানারি মালিকেরা নেবেন না। চামড়া ছাড়ানোর ৬ ঘণ্টার মধ্যে লবণ না দিলে চামড়ার পচন রোধ করা কঠিন হবে।’
শনিবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সাভারের হেমায়েতপুর বাজার থেকে চামড়া শিল্পনগরী পর্যন্ত রাস্তা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। শিল্পনগরীর ভেতরের সড়কের অবস্থাও শোচনীয়। ঈদের সময় কাঁচা চামড়াবাহী ট্রাক পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ভাঙা সড়কে একটি ট্রাক আটকে গেলে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হতে পারে। এতে ট্রাকভর্তি চামড়া পচন ধরতে পারে, যা জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কাঁচা চামড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর হাজারীবাগে নিয়ে আসতেন। কিন্তু এবার হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ অবস্থায় ভাঙা রাস্তাঘাটের জন্য হেমায়েতপুরে চামড়া নিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণহবে।’
বিএফএলএলএফইএ-এর চেয়ারম্যানবলেন, ‘গত বছর লবণের অভাবে প্রায় ৩০ শতাংশ চামড়ার ক্ষতি হয়েছিল। সারা বছর ৭৫ কেজি ওজনের এক বস্তা লবণের দাম থাকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কোরবানি ঈদের আগে সেই লবণের বস্তা ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা হয়ে গেছে। ফলে গত বছরের মতো এবারও লবণের অভাবে কোরবানির পশুর চামড়া নষ্ট হতে পারে।’
শাহজালাল ট্যানারির স্বত্বাধিকারী শাহজালাল মজুমদার বলেন, ‘সাভারের হেমায়েতপুরে ইতোমধ্যে প্রায় ৭০টি ট্যানারি উৎপাদন শুরু করেছে। হাজারীবাগের চেয়ে হেমায়েতপুরে তাদের সক্ষমতা দুই থেকে তিন গুণ বেড়েছে। তাই রাস্তাঘাট ঠিক থাকলে, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন পাওয়া গেলে কোরবানির বিপুল পরিমাণ চামড়া প্রক্রিয়াকরণে কোনও সমস্যা হবে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দিলজান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/আগস্ট ২৬, ২০১৭)