ঈদে সাজান আপনার ডায়েট পরিকল্পনা
নন্দিতা শারমিন
আপনি কি কখনো ডেটক্স ডায়েটের চেষ্টা করেছেন ? সামনে আসছে আমাদের কোরবানি ঈদ। সেটা মাথায় রেখেই সবার কিছু না কিছু ডায়েট প্লান থাকে। ডেটক্স ডায়েট বর্তমান সময়ে ডায়েটিংয়ের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ডেটক্স ডায়েট সম্পূর্ণ ভিটামিন, মিনারেলস, এন্টি-অক্সিডেন্ট সমন্বয়ে করা হয়; যার মাধ্যমে বডি টক্সিন ও ফ্যাট বার্ন করবে। যেহেতু কোরবানি ঈদে তুলনামূলকভবে রিচ ফুড বেশি খাওয়া হয় তাই ঈদের কিছুদিন পর থেকেই শুরু করতে পারেন এই ডেটক্স ডায়েট পরিকল্পনা। এই ডায়েট পরিকল্পনা শুরু করার পূর্বে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে।
যে সব খাবার রাখবেন এই ডায়েট পরিকল্পনায়
* যে-কোনো ফ্রেশ ফল এবং সবজি, ড্রাই ও কন ফ্রুটস যার মধ্যে প্রাকৃতিক উপায়ে ফল সবজি প্রক্রিয়াজাত করা হয়। পেয়ারা, আমড়া, গাজর, শশা, পাকা পেঁপে, টমেটো বিভিন্ন দেশীয় ফল যা হাতের নাগালে পাওয়া যায় তার জুস করে খেতে পারেন।
* বিভিন্ন ফ্রেশ কালারফুল সবজি নিত্যদিনের খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন।
* হাই-প্রোটিন জোগানোর গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিভিন্ন রকমের ডাল রাখতে পারেন।
* নানা রকমের মাছ খাবারের সঙ্গে রাখতে হবে যা যোগান দিবে ওমেগা-থ্রি।
* মাঝে মাঝে খাবারের পরিবর্তন আনার জন্য মুরগি রাখতে পারেন।
* স্ন্যাকস হিসেবে বিভিন্ন বাদাম রাখতে পারেন। লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত, মধু, গ্রিন-টি, ফ্রুট-টি, বিভিন্ন হারবাল-টি যোগ করতে পারেন।
* সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এক দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করুন।
যে সকল খাবার এড়িয়ে চলবেন
তৈলাক্ত খাবার, কেক, মাখন, চিজ, চকোলেট, রেডিমেট সস, সল্টেড ফুড, সল্টেড নাটস, মেওনেজ, রেডিমেট ফুড, কফি, সফট পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
উপকারিতা : আপনি এই ডায়েট প্লান মেনে চললে পুরো এক মাসে আপনার শরীরে ওজন থেকে শুরু করে আপনি পাবেন শারীরিক শক্তি, মানসিক উৎকর্ষ ও উদ্যোম, কাজের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ।
সকালের নাস্তায় রাখবেন আপনার পছন্দের যেকোনো ফলের জুস বড়ো এক গ্লাস [চিনি ছাড়া]। আর দুপুরের খাবারে লাল আটার রুটি ২টা অথবা লাল চালের ভাত [এক কাপ]-এর সঙ্গে লাইট চিকেন কারি, মিক্সড ভেজিটেবল, এক ছোট বাটি ডাল আর চিকেনের পরিবর্তে মাছ খেতে পারেন। রাতের খাবারে একটি বাটি স্যুপ [চিকেন স্যুপ/ফিস ভেজিটেবল]। স্যুপের সঙ্গে সালাদ খেতে পারেন।
তিনবেলা খাওয়ার মাঝে স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম খেতে পারেন। তবে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আর সকালের নাস্তা আর রাতের খাবারের মধ্যে ১২ ঘণ্টা ব্যবধান রাখতে হবে। সেই ক্ষেত্রে সকালের নাস্তা ৮টার মধ্যে খেতে হবে এবং রাতের খাবারও তাই। এক মাসের জন্য আপনি এই ডায়েট প্লান প্রয়োগ করে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করুন।
nandita_bd@yahoo.com
লেখক : হারবালিস্ট ও ডায়েটেশিয়ান