দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রাজ মিয়ার স্ত্রী সাহিদা আক্তারের দুই শিশু তৌফা ও তোহুরাকে ঈদের আগে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবলেও সার্বিক অবস্থা মাথায় রেখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে এসেছে চিকিৎসকরা।

ঈদের মধ্যেও তাকে হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে দ্য রিপোর্টকে জানান শিশু সার্জারির অধ্যাপক ডাক্তার সাহনূর ইসলাম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তৌফা-তোহুরা ও তার বাবা-মা হাসপাতালে। ঈদের জন্য হাসপাতাল থেকে তাদেরকে সাময়িক ছুটি দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল। তবে তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তাদের অনেক ঝুকি হতে পারে। যেমন: ইনফেকশন, ডাইরিয়াসহ নানান সমস্যা। এজন্য আমরা তাদের হাসপাতালে রাখার ব্যবস্থা করছি।

শিশুদুটির শারীরিক অবস্থা অনেক ভাল উল্লেখ করে অধ্যাপক সাহনুর ইসলাম বলেন, তাদের অস্ত্রোপচারের স্থানের ক্ষত একেবারেই শুকিয়ে গেছে। আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তারা পুরোপুরি সেরে উঠবে।

২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রাজ মিয়ার স্ত্রী সাহিদা আক্তার এ জোড়া শিশুর জন্ম দেন। ৭ অক্টোবর ৯ দিন বয়সে জোড়া শিশু দুটিকে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে জোড়া শিশু দুটির প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করা হয়। তখন ছোট একটি অপারেশনের মাধ্যমে তাদের পায়খানার রাস্তা আলাদা করে দেয়া হয়। এরপর তাদের শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।

দীর্ঘ ১০ মাস প্রাথমিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণে রাখার পর তোফা ও তহুরার অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। দেরিতে শিশু দুটিকে আলাদা করা হলেও প্রথমদিকে শিশু দুটির ওজন কম ছিল। তাদের রক্তে সেপটিসেমিয়া ছিল, যা অস্ত্রোপচারের জন্য উপযুক্ত ছিল না। তাদের অস্ত্রোপচারের জন্য উপযুক্ত করে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ২৮, ২০১৭)