দ্য প্রতিবেদক প্রতিবেদক : আর মাত্র একদিন পরেই (শরিবার) মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে দেশের প্রধান ঈদ জামাত। এ লক্ষ্যে পুরোপুরি প্রস্তুত হাইকোর্ট সংলগ্ন বিশাল এই জাতীয় ঈদগাহ ময়দান।

জাতীয় ঈদগায় একসঙ্গে লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এখানেই রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্যরা, সংসদ সদস্য, বিচারপতি ও কূটনীতিকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে এক কাতারে নামাজ আদায় করবেন। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

ঈদে জামাতের জন্য সুসজ্জিত করে প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানকে। ইতোমধ্যে ৪৩ হাজার বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

ওজু করার জন্য পানির ট্যাপগুলোকে ঠিকঠাক করে লাগানো হয়েছে। ১৪০ জন মুসল্লি একসঙ্গে ওজু করতে পারবেন এখানে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার থাকবে ঈদগাহ মাঠে। মাজারের শৌচাগার ব্যবহার করবেন ভিআইপিরা। ঈদগাহ মাঠে ৭০০ সিলিং ফ্যান, ৪৬০টি লাইট এবং ৫৪টি মেটাল লাইট লাগানো হবে। ৬০ থেকে ৭০টি মাইক লাগানো হবে মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে। ঈদগাহ মাঠে ফটক রাখা হয়েছে তিনটি। মূল ফটক ছাড়াও দক্ষিণ পাশে ও মাজারের দিকে একটি ফটক করা হয়েছে।

জাতীয় ঈদগার দক্ষিণ পাশে নারীদের ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য পর্দা দিয়ে আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৫ থেকে ৬ হাজার নারী এখানে নামাজ আদায় করতে পারবেন। কূটনৈতিক মিশনের সদস্য ও তাদের স্ত্রীদের নামাজের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে মাঠে তৈরি করা হয়েছে র‌্যাব এবং পুলিশের জন্য দুটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। নিরাপত্তার সঙ্গে ঈদগাহ মাঠ ও এর আশপাশে লাগানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরাসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি। ঈদগাহের চারপাশ জুড়ে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিসি ক্যামেরায় থাকবে সার্বক্ষণিক নজরদারি। ভিআইপিদের জন্য ভেতরে প্রায় ৩ হাজার বর্গফুট জায়গা আলাদা নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড সন্স ডেকোরেটরের ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ২ লাখ ৫৯ হাজার বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট জাতীয় ঈদগায় বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি ও ত্রিপল টানানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বৃষ্টিতে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য ওপরে দেওয়া হয়েছে মোটা ত্রিপলের ছাউনি। পানি নিষ্কাশনের জন্য রাখা হয়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ৩১, ২০১৭)