টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে মধুপুরে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী রূপা খাতুনের লাশ আদালতের নির্দেশ মেনে কবর থেকে তুলে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে তোলা হয় রূপার লাশ। এরপর তার ভাই হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক বোনের লাশ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।

এর আগে নিহত রূপার লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে তিনি এই আদেশ দেন। বুধবার হাফিজুর রহমান রূপার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন।

গত শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশ উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় সড়কের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করে। পরদিন শনিবার টাঙ্গাইল মর্গে লাশের ময়নাতদন্তের পর শহরের কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। পরে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে যুবতীকে তার ছোট বোন জাকিয়া সুলতানা রূপা (২৭) বলে শনাক্ত করেন।

পরে রূপার স্বজনদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কে চলাচলকারী ছোঁয়া পরিবহনের চালক, সুপারভাইজার ও তিন হেলপারকে আটক করা হয়।

এই ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/আগস্ট ৩১, ২০১৭)