দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালামের বাঁধন সড়কের জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বর্ধনবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব)। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই আহ্বানে সাড়া না দিলে অভিযানের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে র‌্যাব।

সেজন্য ৬ তলা ভবনটির অন্য বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সূত্র ধরে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে আস্তানার কাছে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টাঙ্গাইলের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। ওই আস্তানা থেকে জেএমবির দুই জঙ্গি আটকসহ বেশকিছু জঙ্গিবাদিদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল ওই গ্রুপের জেএমবির একজন দুর্ধর্ষ জঙ্গি দারুসসালামের আস্তানায় অবস্থান করছে। সে তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১টায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শুরুতে ওই ছয়তলা ভবনের ৫ম তলা থেকে জঙ্গিরা বেশ কয়েকটি আইইডি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে আমাদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। সে সময় জঙ্গিদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার গুলি বিনিময় হয়।

তিনি আরও বলেন, এ এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। আশেপাশের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফাইনাল অভিযান শুরু হবে। ভেতরে কতজন জঙ্গি অবস্থান করছে এ বিষয়টি আমরা এখনও নিশ্চিত নই। জঙ্গির ছোঁড়া বোমা কিংবা গুলি বিনিময়ে এখনও কোনো ক্যাজুয়ালিটির খবর পাওয়া যায়নি।

মুফতি মাহমুদ বলেন, ভোর পৌনে ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে ওই ভবনের সামনে পানি নিক্ষেপ করে চলে যায়। জঙ্গিরা ভেতর থেকে কিছু লিক্যুইড পদার্থ নিক্ষেপ করে। এসব দাহ্য পদার্থ কি না আমরা নিশ্চিত নই, তবে কোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা পানি দিয়ে সেগুলো ধুয়ে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এখনও কেন জিম্মির তথ্য নেই। তবে ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটে যারা আছেন তাদেরকে খুব তাড়াতাড়িই নিরাপদ অবস্থায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। তারপর আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী চূড়ান্ত অভিযান পরিচালিত হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭)