রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব-উল হকের সরকারি বাংলো থেকে বিশাল আকৃতির এক অজগর সাপ ধরা হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাংলোর ভেতরের একটি আখখেত থেকে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা সাপটি ধরেন।

এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে এই চিড়িয়াখানা থেকেই একটি অজগর সাপ উধাও হয়ে গিয়েছিল। তখন অনেক খুঁজেও সাপটির সন্ধান মেলেনি। প্রায় আড়াই বছর পর চিড়িয়াখানার সামনেই বিচারকের বাংলোর সীমানা প্রাচীরের ভেতরে এই অজগর সাপ পাওয়া গেল। চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এটিই সেই হারিয়ে যাওয়া অজগর।

চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ফরহাদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিচারপতির দেহরক্ষী আরিফ হোসেন তাদের কাছে গিয়ে জানান, তারা বাংলোর ভেতর ফাঁকা জায়গায় একটি বিরাট আকারের সাপ দেখেছেন। সাপটি একটি আখখেতের ভেতর ঢুকেছে।

এরপর চিড়িয়াখানার একটি অভিজ্ঞ দল বাংলোয় ছুটে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১১টার দিকে এই অজগরটিকে পাওয়া যায়। পরে জাল দিয়ে সাপটিকে ধরা হয়। এরপর বস্তায় ভরে সাপটি চিড়িয়াখানায় নেয়া হয়। খবর পেয়ে ছুটে যান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে অজগরটিকে চিড়িয়াখানার একটি খাঁচার ভেতর ছাড়া হয়।

ড. ফরহাদ উদ্দিন বলেন, যে সাপটি ধরা পড়েছে সেটি লম্বায় ১৯ ফুট। ওজন ১৬ কেজি। তিনি দাবি করেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই সাপটিই প্রায় আড়াই বছর আগে চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে পালিয়েছিল। বিচারকের বাংলোর ভেতরে প্রচুর জঙ্গল থাকায় সেখানে অজগরটি ইঁদুরসহ অন্যান্য প্রাণী খেয়ে বেঁচে ছিল বলে তাদের ধারণা।

তিনি আরও জানান, আড়াই বছর আগে বাচ্চা অবস্থায় চিড়িয়াখানা থেকে যে অজগরটি পালিয়েছিল সেটি সাত থেকে আট ফুট লম্বা ছিল। তখন সাপটির ওজনও ছিল কম। ওই সাপটি পালানোর কিছুদিন আগেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি ভারতীয় সীমান্তে ধরা পড়েছিল। সাপটি ভারত থেকেই বাংলাদেশে দেশে এসেছিল।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭)