মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক নাগরিককে আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের জন্য বিরাট বোঝা। আমরা শুধু মাত্র মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের আশ্রয় দিয়েছি।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রিনা প্রিতিয়াসমিয়ারসি সোয়েমারনো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের নীতি খুবই পরিষ্কার যে প্রতিবেশী দেশগুলোতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে কাউকে আমাদের ভূখন্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের মুখে পালিয়ে এসে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে।
বাংলাদেশ তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এলেও মিয়ানমার তাতে সাড়া দেয়নি। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়াদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবেও মেনে নিতেও তারা নারাজ।
এদিকে গত ২৪ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনাক্যাম্পে হামলার পর সীমান্তে নতুন করে এই রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হিসাবে, গত ১২ দিনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৮৭ হাজার মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত মানবিক বিবেচনায় মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ১৯৭২ সালের মে মাসে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ওই সময় থেকেই উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বিরাজ করছে।’
তিনি দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অধিকতর অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ‘এতে দুই অঞ্চলের দেশগুলো আরো লাভবান হবে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য তার সরকারের ১শ’বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের উল্লেখ করে দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭)