দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মিরপুরের মাজার রোডের বাঁধন সড়কের বর্ধনবাড়ি এলাকার ভাঙ্গাওয়াল গলির ছয়তলা বিশিষ্ট ‘কমলপ্রভা’ নামের বাড়িটির পঞ্চমতলা থেকে সাতটি লাশ উদ্ধার করেছে র‍্যাব। সন্দেহজনক ওই ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে দুই শিশু সন্তানসহ ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহ এবং তার দুই স্ত্রী ও দুই সহযোগীর পুড়ে কয়লা হওয়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে পরপর তিনটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে প্রায় ৫০০ মিটার বেগে বিস্ফোরক পদার্থগুলো চারিদিকে ছিটকে পড়ে। এতে ভবনের পঞ্চমতলার জানালার থাইগ্লাস ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পঞ্চমতলার মেঝেতে ফাটল তৈরি হয়। ওই ফাটল দিয়ে পঞ্চমতলার ‘জঙ্গি আস্তানায়’ রক্ষিত কেমিক্যাল চতুর্থতলায়ও ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর ওই কেমিক্যালে আগুন লেগে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই আগুনে ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহসহ তার দুই সহযোগী, দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানও পুড়ে কয়লা হয়ে যায়।

র‌্যাব ডিজি আরও বলেন, চোখে দেখে নিহতদের কাউকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়া তাদের শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহ ২০০৫ সালে জঙ্গিবাদে (জেএমবি) সম্পৃক্ত হয়। ২০০৮-০৯ সালে জেএমবি ভেঙে তামিম-সারোয়ারের নেতৃত্বে নব্য জেএমবি গঠিত হয়। ওই সময় ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহ নব্য জেএমবিতে যোগ দেয়।

তার বাসায় (আব্দুল্লাহ) নব্য জেএমবির শীর্ষপর্যায়ে প্রায় সকল নেতাই সময় কাটিয়েছেন বলেও জানান র‌্যাব প্রধান।

এর আগে দুপুর পৌনে একটার দিকে ওই কক্ষ থেকে তিনটি পোড়া লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিলেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। তখন মুফতি মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, বাড়িটির ৫ম তলার একটি কক্ষ থেকে তিনটি পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

মুফতি মাহমুদ আরো জানান, র‍্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা পুরো ভবন তল্লাশি চালিয়ে পোড়া তিনটি মরদেহের সন্ধান পায়।

তিনি জানান, সাবধানতা অবলম্বন করে বাকি কক্ষগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে। র‍্যাবের অভিযান শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।

উল্লেখ্য, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডের বা‌ড়িটি সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত থেকে ঘিরে রাখে‌ র‍্যাব। হবে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭)